
বাংলাদেশে এরিকসনের পদযাত্রার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে টেকনোলজিক্যাল প্রদর্শনীর নানা দিক বর্ণনা করছেন এরিকসন-এর বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও শ্রীলংকার প্রধান টড এসটন।
কৃষি, স্বাস্থ্য এবং আধুনিক জীবন যাপনে বাংলাদেশ কেমন প্রযুক্তিময় হবে তারই বর্নাঢ্য আয়োজন দেখালেন এরিকসন বাংলাদেশ। বাংলাদেশে এরিকসনের দীর্ঘযাত্রার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে আজ ১৬ নভেম্বর, আয়োজিত এই টেকনোলজিক্যাল প্রদর্শনীর নানা দিক বর্ণনা করেন এরিকসন-এর বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও শ্রীলংকার প্রধান টড এসটন।
তিনি বলেন, ‘আমরা পুনঃর্ব্যক্ত করেছি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই খাতে আমাদের প্রতিশ্রুতির। আমাদের ধারণা, উদ্ভাবনী তথা বৈপ্লবিক প্রযুক্তিতে আমূল পরিবর্তন এনেছে দৈনন্দিন জীবনে, ব্যবসায় এবং সমাজে বাস্তব জীবনের নানাবিধ সমস্যা সমাধানের পথ উন্মোচন করে।’
পরে তিনি সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করেন এবং তাদের নতুন নতুন প্রযুক্তির সাথে পরিচয় করান এবং নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।
ভবিষ্যত প্রযুক্তি
রোবোটিক আর্ম: এই প্রযুক্তির মাধ্যমে রোবট সনাক্ত করতে পারবে হাতের ইশারা এবং এটাকে রুপান্তরিত করবে যান্ত্রিক সঞ্চারণে। আসন্ন ৫-জি প্রযুক্তি প্রতিশ্রুতি দেয় একটি তারবিহীন পৃথিবীর যেখানে উক্তরোবটিক নিয়ন্ত্রণের উপযোগী যোগাযোগ নিশ্চয়তা থাকবে।
স্মার্ট পার্কিং: স্মার্ট পাকিং সেন্সর আগাম বার্তা দিবে একটি নির্দিষ্ট পার্কি এর জায়গাতে গাড়ির পার্ক করার মত যথেষ্ট ফাকা জায়গা আছে কি না। এটা কমিয়ে আনবে যানজট এবং কার্বণ নিঃসরণ মাত্রা।
স্মার্ট ওয়াটার গ্রীড: ইন্টারনেট অব থিংস হল একটি অত্যাশ্চার্য আবিষ্কার যেখানে শুধু কম্পিউটার নয় বাস্তব জীবনের সবকিছুর যুক্ত হবে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে। তেমনই একটি প্রকল্প হল স্মার্ট ওয়াটার গ্রীড। যে পদ্বতিতে একটি সেন্সর এবং একচুয়েটর এর সমন্নিত ব্যবস্থা আপনাকে জানিয়ে দিবে স্টোরেজ ট্যাংকের পানির বিশুদ্ভতা এবং প্রবাহ সম্পর্কে। পাইপের কোথাও ছিদ্র থাকলে তাও জানা যাবে এই সেন্সরের মাধ্যমে। নদীর পানির উচ্চতা এবং বন্যার সম্ভাবনার সম্পর্কেও অবহিত করবে এই প্রযুক্তি।