
শ্রমিক লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম
বগুড়া জেলা বিএনপির প্রশিক্ষণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম শাহীন হত্যা মামলার প্রধান আসামি শ্রমিক লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের ৯দিন পর জেলা পুলিশের একটি টিম মঙ্গলবার ঢাকার মতিঝিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা পুলিশের (মিডিয়া) সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাতন চক্রবর্তি। তবে মামলার অন্য আসামিরাও রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
গত ১৪ এপ্রিল রোববার বাংলা নববর্ষের রাতে উপশহর এলাকায় শাহীনকে ছুরিকাহত ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর মঙ্গলবার বিকেলে নিহতের স্ত্রী আক্তার জাহান শিল্পী বাদী হয়ে জেলা মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলামসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আমিনুল গাঢাকা দিয়েছে। তার বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়েও তাকে ধরতে পারেনি বলে দাবি করেছে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত হিসেবে গ্রেপ্তার দুই আসামি বগুড়া শহরের নিশিন্দারা মধ্যপাড়ার মৃত কালুর ছেলে এজাহার নামীয় আসামি পায়েল শেখ (৩৮) ও সন্দেহভাজন আসামি নিশিন্দারা মন্ডল পাড়ার আবু তাহেরের ছেলে রাসেলকে (২৮) কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, আসামি পায়েল শেখ গ্রেফতারের পরই ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মতে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিল্লাল হোসেনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে এবং রাসেলকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫দিনের রিমান্ডের ৪র্থ দিনে একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দির পর তাদের দুজনকেই কারাগারে পাঠানো হয়।