সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (সাকমিড) আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে অবাধ তথ্য প্রবাহ ও গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ে গণমাধ্যম সাক্ষরতা কার্যক্রম চালুর আহ্বান জানানো হয়েছে। সোমবার সকালে রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে এ আহ্বান জানানো হয়। ঢাকা মহানগরীর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের গণমাধ্যম সাক্ষরতা যাচাই জরিপে প্রাপ্ত ফল উপস্থাপন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সরকারের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) ও নেদারল্যান্ডসভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড বৈঠকটি আয়োজনে সহায়তা করে।
মহানগরী ও টঙ্গীর ১৬টি বিদ্যালয়ের ৫০০ ছাত্রছাত্রীর ওপর পরিচালিত এ জরিপের প্রাপ্ত ফলে দেখা যায়, তাদের মধ্যে ৮০ দশমিক ৩ শতাংশ ছাত্রছাত্রী ইন্টারনেটসহ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। আর শতকরা ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তাদের মধ্যে ৭২ শতাংশ শিক্ষার্থীর ফেইসবুক এবং ৪৭ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর ইউটিউব অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
বৈঠকে বলা হয়, গণমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের এ অবাধ বিচরণকে কাজে লাগিয়ে তাদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের সবার। এ লক্ষ্যে সরকার, গণমাধ্যম, শিক্ষক ও অভিভাবকদের উদ্যোগী ভূমিকা নিতে হবে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সাকমিডের বোর্ড সদস্য নজর-ই-জিলানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আব্দুল মান্নান। বৈঠকে বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের প্রধান ড. জুড উইলিয়াম হেনিলো, জাতীয় কারিকুলাম ও টেক্সট বুক বোর্ডের সদস্য (প্রাথমিক) প্রফেসর এ কে এম রেজাউল হাসান, একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের এডুকেশনাল টেকনোলজি এক্সপার্ট মো. রফিকুল ইসলাম সুজন, ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি কে এম শহীদুল হক প্রমুখ। এছাড়াও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্র মতামত দেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য পেশ করেন সাকমিডের ডেপুটি ডিরেক্টর সৈয়দ কামরুল হাসান। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি