ঢাকা শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ময়মনসিংহে নিষিদ্ধ পল্লীতে অবৈধ মদ

ময়মনসিংহে নিষিদ্ধ পল্লীতে অবৈধ মদ

ময়মনসিংহ নগরীর প্রাণকেন্দ্র নিষিদ্ধপল্লীকে ঘিরে গড়ে উঠেছে অবৈধ মদ বাণিজ্য সিন্ডিকেট। দফায় দফায় পুলিশের অভিযানে এই মাদক সিন্ডিকেটের প্রমাণ মিলেছে। তবে কোন ভাবেই এই মাদক সিন্ডিকেটটি নির্মূল করা যাচ্ছে না। এর ফলে নগরীর অলিগলিতে মাতালদের যত্রতত্র বিচরণে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।

জানা যায়, ময়মনসিংহ নগরীর রমেশ সেন রোডে অবস্থিত নিষিদ্ধপল্লী। এই নিষিদ্ধপল্লীর প্রবেশ পথ দু’টি। একটি স্বদেশী বাজার রমেশ সেন রোড, অন্যটি গাঙ্গিনারপাড় স্টেশন রোডস্থ এবি গুহ রোড। এসব প্রবেশ পথ দিয়েই নিষিদ্ধপল্লীর ভিতরে প্রতিদিন চলছে শত শত লিটার অবৈধ চোলাই মদ ও কালোবাজারে বাংলা মদ বিক্রির হিড়িক।

এছাড়াও দেশীয় বাংলা মদ কাউন্টার থেকে প্রতিদিন পারমিটবিহীন দুই থেকে তিন লিটার বাংলা মদ অবৈধভাবে বের হয়ে জমা হয় এই নিষিদ্ধপল্লীতে। পরে এই অবৈধ মদ সরবরাহকারী লাভলী, রুমা ও আনু’র নেতৃত্বে নগরীসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় পাচার করা হয়। এক্ষেত্রে ক্রেতার হাতে নিরাপদে মদ পৌঁছে দেওয়ার দ্বায়িত্ব পালন করছেন নিষিদ্ধপল্লীর আঁখি ও গেইটম্যান মতি। এতে মহলটি আর্থিক ভাবে লাভবান হলেও বিপথগামী হয়ে পড়ছে তরুল প্রজন্মের একটি বৃহৎ অংশ।

অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় দুইজন মাদক ব্যবসায়ি নিষিদ্ধপল্লীতে চোলাই মদ সরবরাহ করে আসছে র্দীঘদিন ধরে। গত ১১ সেপ্টেম্বর নিষিদ্ধপল্লীর ভিতর থেকে চোলাই মদ বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার সময় নগরীর তেরীপট্টি এলাকা থেকে ১৮ লিটার চোলাই মদসহ র‌্যাব-১৪ হাতে গ্রেফতার হয় এক মাদক ব্যবসায়ী।

তবে এসব বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা। তাদের ভাষ্য, মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রটি আরও জানায়, কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ ও ১নং ফাঁড়ির ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন কালোবাজারে এসব অবৈধ মদ বিক্রির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকলেও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়েই চলছে এই সিন্ডিকেটের মাদক বাণিজ্য।

এদিকে অবৈধ মদ বিক্রি ও মাতালের উৎপাত বন্ধ করতে পুলিশ প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন নগরীর সচেতন মহল। তাদের ভাষ্য, পুলিশ চাইলে নগরীর মদ বাণিজ্য বন্ধ করা সম্ভব। আমরা তাদের কাছে সেই ধরনের কঠোর পদক্ষেপ আশা করছি। এর বিষয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, নিষিদ্ধ পল্লীর ভিতরে একটি অনুমোদিত মদের কাউন্টার রয়েছে। এই কাউন্টার হতে মদ সংগ্রহ করে তা কতিপয় ব্যাক্তি বাইরে বিক্র করতে পারে। এদের বিষয়ে খোজ-খবর রাখা হচ্ছে।

ময়মনসিংহ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত