কাউখালীতে হত দরিদ্র খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের জন্য সরকারের খাদ্য বান্ধ কর্মসূচির আওতায় ১৫ টাকা কেজি ধরে পুষ্টির চাল বিতরণ কর্মসূচি চলমান আছে। বিধি মোতাবেক প্রথমে সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে পুষ্টির মিশ্রনকারী ঠিকাদার চাল সংগ্রহ করে চালের সাথে ১% পুষ্টি মিশ্রণ করার পর পুনরায় ওই চাল খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি বাস্তবায়ন কারি ডিলারদের হাতে পৌঁছে দেয়ার কথা রয়েছে। প্রত্যেক গ্রাহকের জন্য ৩০ কেজি চালের বস্তায় ৩০০ গ্রাম পুষ্টি দানা সরবরাহ করার হবে। পুষ্টি মিশ্রণের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার খাদ্য গুদাম থেকে ৮ ই সেপ্টেম্বর প্রায় ৭৫ টন উন্নত মানের চাল সংগ্রহ করে নিলেও ২৩সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন চাল বিক্রয় কেন্দ্রে পৌঁছে দেয় নাই। অথচ ৪/৫ দিনের মধ্যে এই চাল সরবরাহ করার কথা ছিল। পরবর্তী সময় ২৪ সেপ্টেম্বর গত মঙ্গলবার উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের বিক্রয় কেন্দ্রে পুষ্টি মিশ্রিত চাল পৌঁছে দেয়া হয়।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বুধবার ডিলাররা সকাল ৯ টায় উপজেলার সাতটি পয়েন্টে চাউল বিক্রি শুরু করেন। এ সময় দেখা যায় যে খাদ্য গুদাম থেকে যে উন্নতমানের চাল সরবরাহ করা হলেও পুষ্টি ডিলার ওই চাল না দিয়ে অবৈধভাবে পচা নষ্ট চাল সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ভোক্তারা এই নষ্ট চাল দেখতে পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান। পরবর্তী সময়ে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। ঘটনা সত্যতা পেয়ে চাল বিক্রি বন্ধ করে দেন। এ সময় উপস্থিত সুবিধাভোগীরা নষ্ট চাল সরবরাহকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিচার দাবি করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ন্যায় বিচারের বিষয় আশ্বস্ত করলে সকল ভোক্তারা বাড়ি ফিরে যান। সদর ইউনিয়নের চাল বিক্রিয় কেন্দ্রের ডিলার পলাশ শিকদার জানান পুষ্টির ডিলার সেলাই যুক্ত পাটের বস্তায় চাল সরবরাহ করে। আমরা শুধু ভোক্তাদের হাতে পৌঁছে দেই। আছিয়া এন্ড ফাতেমা পুষ্টি রাইস মিল মঠবাড়িয়া এর স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান বিদ্যুৎ না থাকায় চাল সরবরাহ করতে বিলম্ব হয়েছে।
এছাড়া সঠিকভাবে পুষ্টি মিশ্রণ করে খাদ্য গুদাম থেকে দেওয়া চাল পুনরায় ডিলারদের হাতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। লেবার সরদার মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম ও খাদ্য গুদাম পরিদর্শক মো. আবুল কালাম জানান, কাউখালী খাদ্য গুদামে কোন নিম্নমানের চাল নেই। ঠিকাদার জাহাঙ্গীরকে গুদাম থেকে ভালো চাল সরবরাহ করা হয়েছে। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ মেহেদী হাসান জানান, পুষ্টির চাল মিশ্রণ করার সময় আমাদের দেখার কথা থাকলেও সময়ের অভাবে দেখতে পারি নাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লা বলেন, অভিযোগ শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে চালের মান নিয়ে সন্দেহ হলে পাঁচটি ইউনিয়নের সাতজন ডিলারকে চাল বিক্রি বন্ধ করে দেয়া হয়। বিষয়টি তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।