ঢাকা ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

উখিয়ার রাজাপালংকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ইউনিয়ন ঘোষণা 

উখিয়ার রাজাপালংকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ইউনিয়ন ঘোষণা 

বাংলাদেশ সরকারের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ ও বাল্যবিবাহ নিরোধ বিধি-২০১৮ এর সফলতা আনায়নে শেড উখিয়া এপি "বাল্যবিবাহ নিরোধে" বিশদ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহায়তায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সোসাইটি ফর হেলথ এ্যাক্সটেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট (শেড) কতৃক রাজাপালংকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাল্যবিবাহ মুক্ত ইউনিয়ন ঘোষনা করা হয়েছে।

এই উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর অর্থায়নে ও সোসাইটি ফর হেলথ এক্সটেনশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট (শেড) এর বাস্তবায়নে রাজা পালং ইউনিয়ন পরিষদ, ভিডিসি, শিশু ও যুব ফোরামের আয়োজনে রাজাপালং ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ইউনিয়ন ঘোষণা ও উদযাপন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার নুরুল কবিরের সভাপতিত্বে উপজেলা অডিটোরিয়ামে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অনুষ্ঠিত উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন।

প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ কক্সবাজার এসিও-এর সিনিয়র ম্যানেজার রোনাল্ড প্রবীর চিশিক।

এনজিও শেড-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোহাম্মদ আবুল কালামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায়

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালেহ আহমেদ, উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আরিফ হোসাইন, উখিয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি সাঈদ মুহাম্মদ আনোয়ার, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার আল-মাহমুদ হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্লাহ। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি দপ্তর -বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিধি ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সকল পুরুষ ও মহিলা মেম্বারগণ বক্তব্য রাখেন।

সভায় উপস্থিত স্থানীয় জনসাধারণ ও বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিদের বাল্যবিবাহ মুক্ত ইউনিয়ন ও সমাজ গঠনের জন্য ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর ও শপথ নামা পাঠ করা হয়। পরে রাজাপালং ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহ মুক্ত বোর্ড হস্তান্তর করা হয়।

এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ অর্থায়নে শেড এর উদ্যোগে উখিয়ায় বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ইলেকট্রিক্ ওয়ারিং বিষয়ক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষনগ্রহণকারী ৬৫ জনকে সনদ, সরঞ্জাম ও জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা করে ১৩ লক্ষ টাকা বিকাশের মাধ্যমে প্রদান করা হয়। পরে উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ৪০ জন শারিরীক প্রতিবন্ধীকে এনজিও শেড কতৃক ৪০ টি স্লিপিং হুইল চেয়ার প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ৫-৩-১ অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০২০, ২০২৫ এবং ২০৩০ সালে ১৮ বছরের কম বয়সি নারীদের বিবাহের হার যথাক্রমে ৩০, ২০ ও ১০ শতাংশ সীমাবদ্ধ রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। বাল্যবিবাহ জাতি ও রাষ্ট্রের জন্য একটি অভিশাপ, বাল্যবিবাহের ফলে শিশু ও মায়েদের অপুষ্টি দেখা দেয়। শিশুদের সুন্দর একটি ভবিষ্যত নষ্ট হয়ে যায়। একারনে আজকে রাজাপালং ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা হচ্ছে। শুধু এ ইউনিয়নকে নয়, আগামী দিনে উপজেলার সবগুলো ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহ মুক্ত করার জন্য আমাদের সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

বাল্যবিবাহ,উখিয়া
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত