ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের আরাজি শিংপাড়া গ্রামের ইউ পি সদস্য মফিজুল হকের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৮-১০ জনকে আসামী করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভ‚ক্ত ভোগী ওই ইউপি সদস্য।
শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে ফজরের নামাজের পরে কালিতলার পূর্বদিকে ঠাকুরগাঁও-গড়েয়া সড়কের পাশে এ ঘটনা ঘটে। ওই দিন তিনি বিকালে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলেন-ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের কালিবাড়ি নিশ্চিন্তপুর মহল্লার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে হুমায়ুন (৪২), মৃত সাইফদ্দীনের ছেলে নূরুল আমিন (৫০), মফিজ উদ্দীনের ছেলে মন্ট ু(৩৫), একই এলাকার বদিউল (৪৮), জালাল উদ্দীন এবং সদর উপজেলার জগন্নাথপুর মন্ডল পাড়া গ্রামের মৃত ভবন আলীর ছেলে মতিয়র রহমান (৪০), নজিব উদ্দীনের ছেলে সোলেমান আলী (৩৫)।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আসামীগণ ধারালো অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাইরের দরজা ভেঙ্গে বাড়ি ভিতরে প্রবেশ করে এবং বাড়ি-ঘর, সিসি ক্যামেরা ভাংচুর, মাইক্রোবাস ভাংচুর, এলোপাথারি মারপিট শুরু করে। এ সময় আসামীরা দেড় লাখ টাকা ও ৩ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেয়। ইউপি সদস্যকে না পেয়ে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। তার স্ত্রীর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। এক পর্যায় ইউপি সদস্যের বৃদ্ধ মায়ের গলায় থাকা সোনার চেন ছিনিয়ে নেয় দূর্বিত্তরা।
ইউপি সদস্য মফিজুলের মা বলেন আমি ফজরের নামাজ শেষ করেছি, এমন সময় একদল সন্ত্রাসী রামদা, লোহার রড, লাঠি-সোঠা নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে ভাংচুর শুরু করে এবং আমার ছেলেকে খুঁজতে থাকে। পরে আমার ছেলেকে না পেয়ে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং আমার ছেলের বউকে মারধর করে। তার মাথা ফাটিয়ে দেয়।
এলাকাবাসি এন্তাজ আলী বলেন এই হুমায়ুন ছিল আওয়ামীলীগ, আওয়ামীলীগ সরকার বাতিল হয়ে গেছে, সে এখন বিএনপি’র লোকজনের সাথে যোগাযোগ করে জমি-দখলসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাচ্ছে। এদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। মনোয়ারা বেগম বলেন দেশে কি কোন আইন নাই। এই ভাবে বাড়িতে এসে সন্ত্রাসীরা হামলা চালালো, মারধর করলো এর কি বিচার হবে না।
হুমায়ুনসহ অন্যান্য অভিযুক্তদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
ইউপি সদস্য মফিজুল হক বলেন সন্ত্রাসীরা যখন বাইরের দরজা বাড়িতে প্রবেশ করে, তখন আমি বাড়ি থেকে পালিয়ে যাই। এ সময় সন্ত্রাসীরা রামদা, ছুরি, লাঠি-সোঠা ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়, টাকা ও স্বর্নালঙ্কার লুট করে। তারা মূলত আমাকে মারার উদ্দেশ্যে বাড়িতে প্রবেশ করে। তারা যে অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এসেছিল তার সিসি ফুটেজ দেখলে বুঝা যাবে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন ইউপি সদস্য বিষয়টি অবগত করেছে। আমি অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।