লালমনিরহাটে এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত তরুণ কালীগঞ্জ উপজেলার ইশোরকুল গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে। তবে তাঁর মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ আত্মহত্যা বললেও নিহত রমজানের বাবা আব্দুল জলিল এবং পরিবারের অন্য স্বজনরা তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করেছেন।
স্বজনরা জানান, জমিজমা নিয়ে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত কয়েকদিন আগে রমজানের বোন জোছনা বেগমের মহেন্দ্রনগরের বাড়িতে বেড়াতে যায় রমজান। তখন থেকেই সেখানে অবস্থান করছিলেন তিনি। রমজানের আরেক বোন খাদিজা বেগমের স্বামী জিয়াউর রহমান বলেন, 'জমিজমা নিয়ে পরিবারে দ্বন্দ্ব ছিল। সেই জেরে রমজানকে তাঁরা মেরে ফেলেছে, এখন বলছে সে নাকি আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ মামলা নিচ্ছে না। আমরা থানায় মামলা দিতে চাইলেও মামলা নিচ্ছে না পুলিশ। উল্টো আদালতে মামলার পরামর্শ দিয়েছে।'
রমজানের বৃদ্ধ বাবা আব্দুল জলিল বলেন, 'সম্পত্তির কারণে আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে আমার মেয়ে জোছনা মারধর করে। আমার ছেলে রমজানকে জোছনা মেরে ফেলেছে। পুলিশকে মামলার কথা বললে পুলিশ পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসার পরে মামলার পরামর্শ দিয়েছে।'
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি আঃ কাদের বলেন, "আমাদের দৃষ্টিতে রমজান আত্মহত্যা করেছে। এখন পোস্টমর্টেম এর জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি।" তাঁর বাবা হত্যা মামলা দিলেও নেয়া হচ্ছে না কেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "সে জবাব আমি দিতে বাধ্য নই"।
তবে পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, "লাশ উদ্ধারের বিষয়টি আমাকে জানানো হয়নি। পরিবার চাইলে থানায় মামলা দিতে পারবেন।"