ঢাকা ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দাম ভালো থাকায় কারিগররা খুশি

সিরাজগঞ্জে শীতের আমেজ শুরুতে  খেজুরের গুড় তৈরী, ব্যস্ত কারিগর

সিরাজগঞ্জে শীতের আমেজ শুরুতে  খেজুরের গুড় তৈরী, ব্যস্ত কারিগর

সিরাজগঞ্জে শীতের আমেজের শুরুতেই সুস্বাদু খেঁজুরের গুড় তৈরী শুরু হয়েছে। এ আমেজে বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে খেঁজুরের গুড় তৈরী শুরু হয়েছে। এতে ব্যস্ত সময় পার করছে খেঁজুর তৈরীর কারিগররা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলায় প্রায় ৫ হাজার খেঁজুরের গাছ রয়েছে। এসব খেঁজুরের গাছ সরকারি, বেসরকারি রাস্তার পাশে, জমির আইল ও পুকুড় পাড়সহ বাড়ির আঙ্গিনায় রয়েছে এবং অনেকের খেঁজুর বাগানও রয়েছে। বিশেষ করে শয্যভান্ডার খ্যাত সিরাজগঞ্জের চলনবিল এলাকার তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ খেঁজুর গাছের সংখ্যা বেশি রয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো খেঁজুরের রস থেকে গুড় তৈরীর হিড়িক পড়েছে। কয়েকদিন ধরে জেলার বিভিন্ন স্থানে শীতের আমেজ শুরু হয়েছে এবং গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা পড়ে। আর পড়ন্ত বিকেল থেকে এ শীতের আমেজ শুরু হয়। এ আমেজ শুরু থেকেই গ্রামঞ্চলে গাছিরা খেঁজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করছে। এ খেঁজুর রস থেকে কারিগররা গুড় তৈরী করছে এবং অনেক ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীরা গাছিদের কাছ থেকে এ রস ক্রয় করে নিয়ে কড়াইয়ে আগুনের তাপে এ সুস্বাদু গুড় তৈরী করছে। স্থানীয় গুড় তৈরীর কারিগর ও গাছিরা বলছেন, এবার সহজ পদ্ধতিতে খেঁজুরের রস সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং এ রস দিয়ে লাভবান গুড় তৈরী হচ্ছে। এ সুস্বাদু গুড় তৈরীতে খরচ কম ও বাজার ভালো থাকায় কারিগররা খুশি। তবে এ গুড় তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলে বেশি তৈরী হচ্ছে এবং খেঁজুরের রসের তৈরী গুড় পাটালি, খোরা, বড় পাটা ও ঝোলা নামে পরিচিত। এ গুড় দিয়ে গ্রামঞ্চলে মুড়ি মোয়া নাস্তা ও পায়েস খাওয়ানো হচ্ছে জামাই আদরে। এ গুড় বর্তমান বাজারে ২/৩’শ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এ সুস্বাদু গুড় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হচ্ছে। এ বিষয়ে জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক আঃ জাঃ মুঃ আহসান শহীদ সরকার আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, খেজুর গাছের জন্য বাড়তি কোনো পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। স্থানীয় কৃষি বিভাগ এ রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরীতে পরামর্শ দিয়ে থাকে। এজন্য কৃষকদের পরিত্যক্ত জমিতে খেজুর বাগান গড়ে তুলতে সহযোগীতা করতে হবে। এ চাষে কৃষকেরা লাভবান হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

গুড়
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত