সাটুরিয়ায় মাঠ জুড়ে হলুদের সমারোহ
প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ
মো: খোকন সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ)প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার মাঠে জুড়ে এখন শুধুই হলুদের সমারোহ। প্রকৃতি সেজেছে এক অপরূপ মহিমায়। সরিষার হলুদ ফুলের এই সমারোহ নয়ন জুড়িয়ে দেয়। যেদিকে দুচোখ যায়, শুধু হলুদ আর হলুদ। সরিষা ক্ষেতের এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য মনকে আবেগে আপ্লুত করে তোলে। চারদিকের সরিষার ফুল থেকে মধু আহরণে ব্যস্ত হাজারো মৌমাছি। চলতি বছর সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছে সাটুরিয়ার কৃষকরা।
দূর থেকে দেখলে মনে হয় পুরো মাঠ যেন ছেয়ে আছে হলুদের চাদরে। সকালের মিষ্টি সোনা রোদে আরও চকচক করছে হলুদের দিগন্তের বিস্তৃত মাঠ আর মাঠ। মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার গ্রামীণ জনপদের ফসলের মাঠগুলো প্রকৃতির অপরূপ রূপে সেজেছে।
জানা গেছে, এ উপজেলার কৃষকেরা চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন। এখন শুধু ভালো ফলনের আশায় উপজেলার কৃষকেরা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
এদিকে চলতি মৌসুমে কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা না দেওয়ায় এবং সরিষা চাষের পরিবেশ ও আবুহাওয়া ভাল থাকায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। গ্রামীণ জনপদের কৃষকরা এই সরিষা যথা সময়ে ঘরে তুলতে পারলে এবং বিক্রয় মূল্য ভালো পেলে বিগত দিনের লোকসান পুষিয়ে সরিষা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে।
কৃষকদের দাবি, উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে সরিষা চাষে বেশ মুনাফা হয়। আর সরিষার ফুল ও পাতা ঝড়ে পড়ায় জমি বেশ উর্বর হয়। সরিষা কাটার পর ওই জমিতে বোরো ধান আবাদ করলে সারের পরিমান কম লাগে। ফলে উৎপাদন খরচ কমে যায় ও ফলন হয় ভালো।
উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের চলতি মৌসুমে ২৯৮৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। উপজেলার দিঘুলীয়া ইউনিয়নে সব চেয়ে বেশি ৫৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ হচ্ছে সরিষার।
উপজেলার পানাইজুরি গ্রামের কৃষক মো: ছালাম মিয়া জানায়, এবার আবহাওয়া ভালো হওয়ায় অন্যান্য আবাদের পাশাপাশি দুই বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। আশা করছি বিগত বছরের তুলনায় এবার সরিষার বাম্পার ফলন হবে।
উপজেলার রাধানগর গ্রামের কৃষক মো: আবুল হোসেন জানায়, তিন বিঘা জমিতে আবাদ করেছে সরিষার। কয়েক বছর ধরে সরিষা আবাদ করি। এতে আমার ভালো মুনাফা হয়।
সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,আবুহাওয়া ভাল থাকার কারণে এই বছর উপজেলায় ২৯৮৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। কৃষকদের নিয়মিত প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।
