যমুনায় অবৈধভাবে মাছ নিধনে মা মাছ সংকটের আশঙ্কা

প্রকাশ : ২৮ মে ২০২৫, ২০:৩৮ | অনলাইন সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে নৌকাযোগে অবৈধ চায়না দুয়ারি জালসহ নানা কৌশলে বিভিন্ন প্রজাতির ডিমওয়ালা মাছ নিধন করছে অসৎ জেলেরা। এতে যমুনা নদীতে মা মাছের সংকট সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, যমুনা নদীর তীরবর্তী শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে দীর্ঘদিন ধরে এ মাছ নিধন চলছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্রমাগতভাবে যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে যমুনায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে অসৎ জেলেরা যমুনা নদীর বিভিন্ন  পয়েন্টে এ অবৈধভাবে মাছ নিধনে ঝুঁকে পড়েছে। তারা চায়না দুয়ারি জাল, বিশেষ পদ্ধতির কারেন্ট জাল, বৈদ্যুতিক শক লাইটসহ বিভিন্ন কৌশলে এ মাছ নিধন চলছে এবং তারা দিনরাত ছোট বড় নৌকাযোগে যমুনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে মুখ কাটা খোভ আকার এ চায়না দুয়ারি জাল পেতে রাখে। প্রায় ২/৩ ঘণ্টা পরপর এ জাল উদ্ধার করে এবং জালে আটকে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা হচ্ছে অবাধে। এরমধ্যে আইড়, বোয়াল, টেংরা, গোলসা, চিংড়ি, বেইলা, বাঁশপাতারি ও পিয়ালি মাছ উল্লেখযোগ্য এবং এসময় ডিমওয়ালা মাছ বেশি নিধন করা হচ্ছে। প্রতিদিন সকালে যমুনা নদীর বিভিন্ন ঘাট ও বাজার এলাকায় এসব মাঠ কন্ঠডাকে বিক্রি হয় প্রতিদিন। 

স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে নানা প্রজাতির মাছ নিধন চলছে। স্থানীয় প্রশাসন এ অবৈধ নিধন বিষয়ে তেমন ব্যবস্থাও নিচ্ছে না। যে কারণে যমুনায় এ মাছ নিধনের প্রভাব বাড়ছে। অবশ্য বিশিষ্টজনেরা বলছেন, অসৎ জেলেরা যমুনায় মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছে। অবৈধভাবে এ মাছ ধরায় যমুনা নদীতে মা মাছ সংকটের আশঙ্কা রয়েছে এবং এ অবৈধ মাছ ধরার পদ্ধতি বন্ধ করতে হবে। 

এ বিষয়ে জেলা মৎস্য বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলছেন, যমুনা নদীতে অবৈধভাবে মাছ নিধনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং ইতিপূর্বে যমুনা নদীতে অভিযানও চালানো হয়েছে। তবে শীঘ্রই এ অবৈধভাবে মাছ নিধনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।