রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

বাষ্প নির্গমন পরীক্ষায় নির্গত বাষ্প ও অপ্রত্যাশিত শব্দে উৎকণ্ঠিত না হওয়ার আহ্বান

প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৫, ২০:৪৪ | অনলাইন সংস্করণ

  ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার ঈশ্বরদীর রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে বাষ্প নির্গমন পরীক্ষা কার্যক্রমে স্থানীয়দের নির্গত বাষ্প ও অপ্রত্যাশিত শব্দে উৎকণ্ঠিত না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

প্রকল্পে নিয়োজিত রাশিয়ান ঠিকাদার এতমস্ত্রয় এক্সপোর্ট কর্তৃক জানানো হয়, রবিবার (১৩ জুলাই) থেকে প্রকল্পের প্রথম ইউনিটে ‘হট মিডিয়া টেস্ট’ চালানো শুরু হয়েছে। প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী কুল্যান্ট সার্কিটকে নির্ধারিত তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করা ও বাষ্প উৎপাদন করা হবে। এছাড়া অন্য নিরাপত্তা প্যারামিটারগুলো চূড়ান্তভাবে পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষার সময় বেশ কিছু অপ্রত্যাশিত শব্দ তৈরি হবে, যা সম্পূর্ণ পূর্বনির্ধারিত। এ নিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ নিরাপদ। রোসাটম নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় বলে জানানো হয়েছে।

রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের  প্রকল্প পরিচালক মো. কবীর হোসেন জানান, প্রকল্প এলাকার মেইন স্টিম পাইপলাইন-এর কার্যকারিতা যাচাই ও নিরাপদ পরিচালনার জন্য একটি পরিকল্পিত বাষ্প নির্গমন পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এই পরীক্ষার অংশ হিসেবে উচ্চচাপের বাষ্প নির্দিষ্ট পাইপলাইনের মাধ্যমে নির্গত হয়ে বায়ুমণ্ডলে ছাড়া হবে, যা প্রায় ৫-৬ দিন ধরে চলবে। পরীক্ষাকালীন সময়ে মাঝে মাঝে কিছুক্ষণের জন্য হঠাৎ করে একটি শব্দ (যা জেট ইঞ্জিনের আওয়াজের মতো শোনা যেতে পারে) সৃষ্টি হতে পারে। এই শব্দ এবং নির্গত বাষ্প সম্পূর্ণ স্বাভাবিক, পূর্বনির্ধারিত ও নিরাপদ। জনসাধারণের জন্য এতে কোনো ঝুঁকি বা বিপদের সম্ভাবনা নেই। এটি একটি নিয়মিত কারিগরি প্রক্রিয়া, যা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্থায়িত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পরিচালিত হয়। এসময় স্থানীয় জনগণকে বিভ্রান্ত বা উৎকণ্ঠিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দু’টি ৩+ প্রজন্মের ভিভিইআর-১২০০ চুল্লি স্থাপিত হয়েছে। প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ১,২০০ মেগাওয়াট। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংস্থা রসাটমের প্রকৌশল বিভাগ জেনারেল কন্ট্রাকটর হিসেবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।