‘বৃক্ষরোপণ অভিযানে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে’

প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৯:২১ | অনলাইন সংস্করণ

  কক্সবাজার অফিস

কক্সবাজারে ১০ দিনব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। “পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি”-এ প্রতিপাদ্যে শহরের পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ দৌলত ময়দানে জেলা প্রশাসন ও বনবিভাগের উদ্যোগে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

সমাপনী দিনের আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী।

প্রধান অতিথি বলেন, সংরক্ষিত বন ও রাস্তায় সৃজন করা গাছ চুরি ও লুটে যারা জড়িত তারাও দুর্বৃত্ত। এসব দুর্বৃত্তদের ধরতে প্রশাসনের নিয়মিত অভিযান ও তৎপরতা রয়েছে।

তিনি বলেন, প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রত্যেকের বৃক্ষরোপণ করা জরুরি।

দক্ষিণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উত্তর বন বিভাগীয় কর্মকর্তা মারুফ হোসেন, কক্সবাজার প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দীন বাহারি, সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) মো. মনিরুল ইসলাম ও কক্সবাজার নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতি সাইফুল হকসহ সংশ্লিষ্টরা।

উত্তর বন বিভাগীয় কর্মকর্তা মারুফ হোসেন বলেন, পরিকল্পিত বনায়নের মাধ্যমে সরকার পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় উদ্যোগ নিয়েছে। এবারে বৃক্ষরোপণ অভিযানে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে।

প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারি বলেন, বনরক্ষায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও বনবিভাগের মধ্যে সমন্বয় থাকলেও মাঝে মধ্যে ব্যত্যয় ঘটে। এতে অনেক সমস্যা তৈরি হয়। কক্সবাজার উপকূলীয় বন ধ্বংস করে চিংড়ি ও লবণ মাঠ তৈরি করে কোনো লাভ হয়নি। বরং শত গুন ক্ষতি হয়েছে। বন রক্ষায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও বনবিভাগসহ সবার সমন্বয় দরকার বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এমনটা না হলে বনরক্ষা করা কঠিন হবে।

এসময় সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, নার্সারি মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরাসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে শ্রেষ্ঠ স্টল প্রদর্শনীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

মেলার ৩৫টি স্টলে এবার ১২ হাজার ৯৩৫টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা বিক্রি করা হয়,যার সর্বমোট মূল্য ১৬ লক্ষ ৭৬ হাজার ৭ শত ৫০ টাকা বলে জানায় বন বিভাগ।
এবার শ্রেষ্ঠ নার্সারি মালিক হিসেবে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন মেরিন এগ্রো প্রজেক্ট এন্ড নাসার্রি, দ্বিতীয় রোজগার্ডেন এবং তৃতীয় হয়েছে বাবুল নার্সারি।