সিরাজগঞ্জে পাটের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি
প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২৫, ২০:০২ | অনলাইন সংস্করণ
এস. এম. তফিজ উদ্দিন, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জে এবার পাট (সোনালি আঁশ) চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে এ পাট পুরোদমে কাটা শুরু হয়েছে। নতুন পাট বাজারে উঠছে এবং দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কৃষকেরা এ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি চাষ করেছে। নিচু ও দোআঁশ জমিতে বিভিন্ন জাতের পাট চাষ করা হয়। বিশেষ করে ইরি-বোরো ধান কাটার পরে সেই জমিতে এ লাভজনক পাট চাষ করা হয়।
এ জেলার চরাঞ্চলসহ কাজিপুর, শাহজাদপুর, রায়গঞ্জ, কামারখন্দ ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় পাট চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। এসব পাটের মধ্যে রয়েছে রবি-১, জেআরও-৫২৪ এবং দেশি ও তোষা ছাড়াও মেছড়া পাটও চাষ করা হয়। চলনবিলঘেষা উল্লাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাট চাষ বেশি হয় এবং এবারও এ চাষে বাম্পার ফলনে সেরা এই উপজেলা।
স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে পাট কাটা শুরু হয়েছে এবং সেই জমিতে রোপা আমন ধান রোপণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে খাল-বিলে এখন পানি সংকটের কারণে পাট জাগ ও পচাতে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষকেরা। অনেক স্থানে স্বল্প পানিতে কস্তুরি দিয়ে পাট জাগ দেওয়া হচ্ছে। এতে কিছুটা ব্যয় খরচ বাড়ছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে বিভিন্ন নদীপাড় অঞ্চলে কৃষকেরা পাট জাগ ও পচনের পর সহজেই ঘরে তুলছেন সোনালি আঁশ, এবং উৎপাদনও ভালো হয়েছে। এই নতুন পাট বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে। ইতোমধ্যে পাট ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন জাতের পাট ক্রয় করে দেশের নানা স্থানে সরবরাহ করছেন। বর্তমানে প্রতি মণ পাট গড়ে সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খরচ কম, লাভ বেশি—এতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এছাড়াও পাটের শাক বিক্রি করে এবং শোলা বিক্রি করেও কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুল জলিল মোহাম্মদ আহসান শহীদ সরকার আলোকিত বাংলাদেশ-কে বলেন, সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে বিভিন্ন জাতের পাট চাষ করেছেন কৃষকেরা। এবার পাট চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে এবং গত বছরের তুলনায় উৎপাদনও বেশি। পাটের বাজার এখন ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
তিনি আরও বলেন, আগামীতে এ পাট চাষে কৃষকেরা আরও আগ্রহী হয়ে উঠবেন।
