৮ বছর পরে আ.লীগ নেতাদের নামে হত্যা মামলা

পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২৫, ২০:১৫ | অনলাইন সংস্করণ

  বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনার সিডরম্যান খ্যাত জয়দেব দত্তের মৃত্যুর আট বছর পর আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন তার সন্তান।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিস্যিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পুত্র প্রসেনজিং দত্ত বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। বিচারক ইফতি হাসান মামলার অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআই পটুয়াখালীকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এই মামলায় আসামি করা হয়েছে জয়দেব দত্তের শ্যালক দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট সঞ্জীব দাস, তালতলী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজবী উল কবির জোমাদ্দার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান মিন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ তৌফিকুজ্জামান তনু, বড়বগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন আলম মুন্সী, সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজীসহ মোট ১৪ জনকে।

প্রসেনজিং দত্ত মামলার বর্ণনায় উল্লেখ করেন, তার বাবা একজন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি বন্ধকীয় ব্যবসা করতেন। তালতলী উপজেলা শহরে তার কোটি টাকা মূল্যের একটি বসতবাড়ি রয়েছে। আসামীরা সম্পত্তি এবং ব্যবসার প্রতি লোভ লালসা বসতঃ ২০১৭ সালের ২ আগস্ট রাতে জয়দেব দত্তকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। পরে তৎকালীন জাতীয় সংসদ সদস্য অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু পুলিশ সুপার বিজয় বসাকের সহযোগিতায় হত্যার ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেয়।

সিডরম্যান খ্যাত জয়দেব দত্তের পুত্র প্রসেনজিং দত্ত বলেন, মামলায় উল্লেখিত আসামীরা পরিকল্পিতভাবে আমার পিতা জয়দেব দত্তকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে তখন ধামাচাপা দিয়েছিল। আমি পিতা হত্যার বিচার পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আশা করি তদন্তে আমার পিতাকে হত্যার সঠিক তথ্য বেড়িয়ে আসবে।

আমতলী সিনিয়র জুডিস্যিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইফতি হাসান বাদীর বক্তব্য শুনে অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআই পটুয়াখালীকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী অ্যাড. মো. মনিরুল ইসলাম হাওলাদার।