ডি গ্রেড নিয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক!

১০ মাসেও জমা হয়নি তদন্ত প্রতিবেদন

প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৫, ১৭:২৭ | অনলাইন সংস্করণ

  গাজী আজম হোসেন, বেরোবি

শর্ত অনুযায়ী চাকরিতে আবেদন করার যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ইউসুফ নিয়মবিরুদ্ধভাবেই কর্মরত রয়েছেন। এক সময়ের আওয়ামী পন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এই শিক্ষক এখন বিএনপি পন্থি শিক্ষকদের সঙ্গে সখ্যতা বাড়াচ্ছেন। চাকুরি বাঁচাতে ছাত্রদলের একাংশকে বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা দিয়ে তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

তার বিরুদ্ধে নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটি ১০ মাসেও প্রতিবেদন জমা দেয়নি।

এসএসসি পরীক্ষায় মো. ইউসুফের জিপিএ ৩.৫০ হলেও গণিতে তার গ্রেড ‘সি’ ছিল। এইচএসসিতে তিনি ৩.০১ পেয়েছেন, যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট অনুসারে তার গ্রেড ‘ডি’।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় এবং বহির্বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্রদল নেতা তুহিন রানা ও রিফাত রাফির সঙ্গে তার সখ্যতা লক্ষ্য করা গেছে।

এ বিষয়ে তুহিন রানা বলেন, ‘ইউসুফ স্যার ছাত্রজীবনে ছাত্রদল করতেন। তিনি জাতীয়তাবাদী আদর্শ লালন করেন। তার সঙ্গে আমাদের ছাত্রদলের ভালো যোগাযোগ রয়েছে।’

তদন্ত কমিটির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার জানান, প্রতিবেদন প্রায় সম্পন্ন হয়েছে, তবে টেকনিক্যাল কারণে প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

আওয়ামী লীগ পন্থি শিক্ষক কীভাবে ছাত্রদলের একাংশের অভিভাবক হলেন জানতে চাইলে ছাত্রদল শাখার আহ্বায়ক আমিন আল আমিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রশ্নের কাউকে ছাড় দেয় না। কেউ জড়িত থাকলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিএনপি পন্থি শিক্ষকরা এ বিষয়ে নীরবতা পোষণ করেন। একজন শিক্ষক বলেন, ‘ইউসুফ আমার সহকর্মী, আর কী বলব?’ অন্য শিক্ষক বলেন, ‘ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ, তাই এখন কারো রাজনীতি করার সুযোগ নেই।’

এই বিষয়ে মো. ইউসুফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাসস্ট্যান্ডে আছেন বলে জানান এবং পরবর্তীতে কথা বলবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।