চাঁদপুরে ইলিশের আমদানি বেড়েছে, কমেছে দাম

প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৫, ২০:৪৮ | অনলাইন সংস্করণ

  চাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে চলতি মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা ইলিশের আমদানি ছিল কম। তবে গত কয়েকদিন আমদানি কিছুটা বেড়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ মণ ইলিশ আমদানি হচ্ছে, যার ফলে দামও কিছুটা কমেছে। এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি আগে ছিল ৩ হাজার টাকা, এখন কমে বিক্রি হচ্ছে আড়াই হাজার টাকায়। চলমান আমদানি অব্যাহত থাকলে বিগত দিনের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শহরের বড় স্টেশন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে গিয়ে আড়তগুলোতে ইলিশ বেচাবিক্রির ব্যস্ততা দেখা গেছে।

দীর্ঘদিন সাগর উপকূলীয় দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে ইলিশের ট্রলার আসা বন্ধ ছিল। এদিন মাছঘাটের পন্টুনে ভিড়েছে বড় একটি ইলিশের ট্রলার। সকাল ১০টার দিকে ওই ট্রলার থেকে বিভিন্ন সাইজের ইলিশ আড়তে নামাতে দেখা গেছে।

মাছঘাটের ছোট-বড় প্রায় ৪০টি আড়তের সামনেই ইলিশের স্তুপ দেখা গেছে। পাইকারি ও খুচরা দুইভাবেই বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। সাথে অন্যান্য প্রজাতির মাছও রয়েছে। তবে অধিকাংশ আড়তের সামনেই ইলিশের আধিপত্য। পাইকারি বিক্রির জন্য স্তুপ করা ইলিশ হাকডাক দিয়ে বিক্রি করছেন আড়তদাররা।

হাজীগঞ্জ থেকে ইলিশ কিনতে আসা ক্রেতা সাইমুম রহমান বলেন, “অন্য সময়ের তুলনায় আজকে আড়তে ইলিশ বেশি। দামও কিছুটা কমেছে। তবে চাঁদপুরের লোকাল ইলিশ খুবই কম। খুচরা দোকান ঘুরে দেখছি, যদি দর ঠিক থাকে তাহলে কিনব।”

চাঁদপুর শহরের নিউ ট্রাক রোড এলাকার বাসিন্দা আল-আমিন বলেন, “ইলিশের দরদাম জানতে এসেছি। আড়াই হাজার টাকা কেজি দরে ইলিশ কেনা সম্ভব না। মাঝারি সাইজের ইলিশ খুবই কম। একেবারে ছোট এবং বড় সাইজের ইলিশ ঘাটে বেশি।”

‘পিউর ইলিশ’ নামে প্রতিষ্ঠানের মালিক সুলতান মাহমুদ বলেন, “পাইকারি স্থানীয় পদ্মা-মেঘনার বড় সাইজের ইলিশ নিয়েছি, ওজন এক কেজির বেশি। বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬শ’ টাকা করে। হাতিয়া থেকে আসা একই সাইজের ইলিশ খুচরায় বিক্রি হচ্ছে আড়াই হাজার টাকা করে।”

খুচরা ইলিশ বিক্রেতা শামীম হোসাইন জানান, “এক কেজি ওজনের লোকাল ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪৫০ টাকা। হাতিয়ার ইলিশ প্রতি কেজি ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকা। ৭০০–৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭শ’ থেকে ১ হাজার ৮শ’ টাকা। ছোট সাইজের ইলিশ (২০০–২৫০ গ্রাম) প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকা।”

চাঁদপুর মৎস্য বনিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আব্দুল বারি জমাদার মানিক বলেন, ৩ থেকে ৪ দিন ইলিশের আমদানি ছিল গড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ মণ। পূর্বে এই পরিমাণ ইলিশ এক আড়তেই বিক্রি হয়েছে। তবে আজকে ইলিশের আমদানি কিছুটা বেড়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ব্যবসায়ীদের বিগত দিনের লোকসান কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠতে পারবে।