পটিয়ায় ব্যাংকে তালা দিল চাকরিচ্যুতরা, ২০ ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ

প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২৫, ১৭:৪৪ | অনলাইন সংস্করণ

  পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের পটিয়ায় কয়েকটি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শহরের বিভিন্ন ব্যাংকের মূল ফটকে ব্যানার টানিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা। এতে গ্রাহকরা ব্যাংকে ঢুকতে না পারায় ২০ ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ে। দুপুর ১টার পর থেকে ব্যাংকের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়।

এর আগে রোববার (১০ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শতাধিক চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারী পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জড়ো হন। তারা সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে পটিয়া সদরের বিভিন্ন ব্যাংকের মূল ফটকে ব্যানার টাঙিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন।

এরপর চাকরিচ্যুতরা পটিয়া থানার মোড়ে অবস্থান নেন। এ সময় জনসাধারণের যাতে ভোগান্তি না হয় আন্দোলনকারীদের সে অনুরোধ জানান পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান, পটিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান ও পটিয়া থানার ওসি নুরুজ্জামান।

পূবালী ব্যাংকের পটিয়া শাখার ব্যবস্থাপক বিপ্লব চক্রবর্তী বলেন, সকালে ব্যাংকে প্রবেশের সুযোগ পাইনি আমরা। এখনও শাখার বাইরে অবস্থান করছি। ফলে কোনো ধরনের লেনদেন সম্ভব হচ্ছে না। গ্রাহকরা লেনদেনের জন্য এসে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা হাবিবুর রহমান রিপন ও কানুন রশিদ বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছি। পটিয়ায় সব ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে। আজ (রোববার) বিকেল পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।’

চাকরিচ্যুতরা অভিযোগ করেন, অন্যায়ভাবে তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দ্রুত পুনর্বহাল ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে তারা আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আরও জানান, গত বছরের আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর বেসরকারি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, আল–আরাফাহ্‌ ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় সাত হাজার কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এর অধিকাংশই চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা। বেশ কিছুদিন ধরে চাকরিচ্যুত ব্যক্তিরা চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা আজ পটিয়ায় সব ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন। তাদের দাবি, বিনা নোটিশে, বিনা কারণে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।