স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় মহাসড়কেই রবির নবীনবরণ

প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৫, ২০:১৭ | অনলাইন সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষা বর্ষের নবীনবরণ বগুড়া-নগড়বাড়ি মহাসড়কে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবির নবীনবরণ অস্থায়ী অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ব্যাচের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদস্বরূপ মহাসড়কে নবীনবরণের দাবি জানান।

শিক্ষার্থীদের এ দাবির সাথে সংহতি জানিয়ে সোমবার (১১ আগস্ট) সকালে রবির অস্থায়ী অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এর সামনে মহাসড়কে ওরিয়েন্টেশন ক্লাস শুরু করেন শিক্ষকরা।

এ সময় নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। ব্যাতক্রমি এ আয়োজনের মাধ্যমে স্থায়ী ক্যাম্পাসের ডিপিপি আগামী একনেক সভায় অনুমোদনের দাবি জানানো হয়েছে। 

একজন নবীন শিক্ষার্থী বলেন, এ অভিজ্ঞতা আনন্দের, এ অভিজ্ঞতা বিষাদের। রবির স্থায়ী ক্যাম্পাস থাকলে মহাসড়কে ওরিয়েন্টেশন হতো না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনেই স্থায়ী ক্যাম্পাসের আন্দোলনে নিজেকে যুক্ত করতে পেরে আনন্দিত। আমরা আশা করি বর্তমান সরকার দ্রুত স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়নের দাবি মেনে নিবেন।

এ বিষয়ে রবির প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) নজরুল ইসলাম বলেন, রবির ডিপিপি দ্রুত অনুমোদনের দাবিতে শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়েছিল যে নতুন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস রাস্তায় নিতে হবে। অডিটোরিয়ামটি এত ছোট যে মাত্র ৬০ জন একসাথে বসতে পারে। আমাদের নতুন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫০ জন। এতে আমাদের রাস্তায়ই ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম করতে হলো। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অংশীজন ডিপিপি হুবহু এবং দ্রুত অনুমোদনের জন্য সরকারের সুনজর কামনা করছি। এতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন আরো প্রাণবন্ত ও সহজ হবে। 

উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠার ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও রবির যৎসামান্য অঙ্কের ডিপিপি অনুমোদন না পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে তাদের দাবি জানিয়ে আসছেন।

গত ২৬ জুলাই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি বয়কটের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ ডিপিপি’র দ্রুত অনুমোদন ও পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন করছে। সমস্ত শর্তপূরণ ও প্রমাণক সরবরাহের পরও রবির ডিপিপি’র অনুমোদন কেন হচ্ছে না, এ প্রশ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করেছে। প্রতিষ্ঠার ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও বার বার পরিবর্তন করে মাত্র ৫১৯ কোটি ১৫ লাখ টাকার বরাদ্দ সরকার কেন দিচ্ছে না তা নিয়ে সচেতন মহলে সমালোচনা উঠেছে।