শেরপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিত্যক্ত ভবন এখন মাদকের আখড়া
প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৫, ১৫:৩৪ | অনলাইন সংস্করণ
শেরপুর জেলা প্রতিনিধি

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি পরিত্যক্ত ভবন দীর্ঘদিন ধরে মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। তিন তলা বিশিষ্ট এ কোয়ার্টারটিতে একসময় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা থাকলেও বর্তমানে এটি ফাঁকা পড়ে আছে। আর সেই সুযোগেই প্রতিরাতে সেখানে বসছে মাদক, জুয়া ও অসামাজিক কর্মকাণ্ডের আসর।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবনের কক্ষগুলোতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে মদের বোতল, সিগারেটের প্যাকেট, ইয়াবার আলামত, দিয়াশলাই, গর্ভনিরোধকসহ নানা সরঞ্জাম। এমনকি নারীদের পোশাকও পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাত নামলেই দল বেঁধে মাদকসেবীরা ভবনে প্রবেশ করে। হাসপাতালের মূল গেট দিয়েই তাদের যাতায়াত ঘটে অধিকাংশ সময়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী রুহুল সিদ্দিকী রুমান বলেন, “এখানে প্রচুর মাদকসেবনের সরঞ্জাম ও অসামাজিক কর্মকাণ্ডের প্রমাণ মিলেছে। অথচ এত গুরুতর বিষয়েও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সঠিকভাবে জানায়নি। আমরা চাই হাসপাতাল যেন নিজেই রোগীতে পরিণত না হয়।”
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌফিক আহমেদ জানান, বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে তোলা হয়েছে এবং পুলিশের টহলের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। নালিতাবাড়ী থানার ওসি সোহেল রানা বলেন, এর আগে ওই ভবন থেকে অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে কয়েকজনকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলেই পুলিশ অভিযান চালায়।
নালিতাবাড়ীর ইউএনও ফারজানা আক্তার ববি বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মতো সংরক্ষিত স্থানে মাদককাণ্ড অত্যন্ত দুঃখজনক। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রমাণ পেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
স্থানীয় সচেতন সমাজের দাবি, হাসপাতালের মতো সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে যেন আর কোনো অনিয়ম বা অসামাজিক কর্মকাণ্ড না ঘটে, সেজন্য প্রশাসনের নজরদারি আরও জোরদার করা জরুরি।
