ইটনা উপজেলা ছাত্রদল নেতা রাতে গ্রেপ্তার, পরদিন বহিষ্কৃত
প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৫, ২০:৩৭ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) বাসায় হামলার মামলায় গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পদ হারালেন উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আজাদুর রহমান সুজন।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) গভীর রাতে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে তাকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আজাদুর রহমান সুজনকে বহিষ্কার করা হলো।”
এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন সংগঠনের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। একই সঙ্গে নেতাকর্মীদের তাকে এড়িয়ে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়।
র্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াডন লিডার আশরাফুল কবির জানান, শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে কিশোরগঞ্জ শহরের শোলাকিয়া বনানী মোড় থেকে সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার সকালে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৩ আগস্ট বিকেলে ইটনা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ইউএনও’র বাসভবনে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় ইউএনও বাসভবনে দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্য মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে ৪২ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও তিন শতাধিককে আসামি করে হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন সুজন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অনুমতি ছাড়াই ইটনা মিনি স্টেডিয়ামে ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু করলে ইউএনও তা বন্ধের নির্দেশ দেন।
অভিযোগ ওঠে, খেলাকে কেন্দ্র করে জুয়ার আসর বসেছিল। কিন্তু নির্দেশ অমান্য করে খেলা চালানো হয়। একপর্যায়ে খেলোয়াড় ও সমর্থকদের মিছিল ইউএনও কার্যালয়ে গিয়ে বাসভবনে হামলা চালায়। আনসার সদস্যরা বাধা দিলে তাদের উপরও হামলা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
