নীলডুমুরে হঠাৎ দেবে গেছে নদীর চর, এলাকায় আতঙ্ক
প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১৬:২৬ | অনলাইন সংস্করণ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার শ্যামনগরের নীলডুমুর এলাকায় ১৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সংলগ্ন খোলপাটুয়া নদীর চর হঠাৎ দেবে যাওয়ায় এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আনুমানিক ৫০০ ফুট জায়গা জুড়ে পানি রক্ষা বেড়িবাঁধ সংলগ্ন চরটি ভেঙে ও বসে গেছে। এতে আশপাশের কমপক্ষে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে নদী ভাঙন রোধে দাবি জানানো হলেও এখনো পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি। তাদের আশঙ্কা, সময়মতো সংস্কার ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নিলে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে উপকূলীয় নিরাপত্তার জন্যও বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
বুড়িগোয়ালিনী ভামিয়া গ্রামের মাসুদ মোড়ল বলেন, ‘যদি জরুরি ভিত্তিতে চরটি বসে যাওয়া রোধ না করা হয়, তবে কয়েকটি গ্রাম তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি কয়েক হাজার মানুষের জীবন ও জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে। কৃষিজমি, বসতবাড়ি এবং বিভিন্ন অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম বলেন, চর ভেঙে ও বসে যাওয়ার কারণে নদীর পানির চাপ বাড়ছে। এতে আশপাশের গ্রামগুলো আরও ঝুঁকির মুখে পড়ছে।
শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, ‘কিছুদিন আগে চর ডেবে যাওয়া বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হলেও আজ পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি। দ্রুত জিও ভর্তি বালুর বস্তা ফেলা না হলে আমার ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নও প্লাবিত হতে পারে। এখন মৎস্য ঘেরে মাছ চাষের মৌসুম চলছে। চর ভেঙে গেলে উপকূলের হাজারও মৎস্যচাষি কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়বে।’
তিনি আরও বলেন, “ইউনিয়ন পরিষদ ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আমরা অবিলম্বে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জরুরি হস্তক্ষেপ চাইছি।”
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী বিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান হোসেন জানান, খুব দ্রুত নীলডুমুর খোলপাটুয়া নদীর চর ডেবে যাওয়া স্থানে জিও বস্তা ডাম্পিং করা হবে।
