মৌলভীবাজারের রাজনগরে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভা পণ্ড
প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১৯:৪০ | অনলাইন সংস্করণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভা দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনার কারণে পণ্ড হয়েছে। অনুষ্ঠানের স্থল এম সাইফুর রহমান অডিটরিয়ামে তালা দিয়ে অবস্থান নেন অপর পক্ষের নেতাকর্মীরা এবং বিভিন্ন শ্লোগান দেন।
দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. মো. জাহেদুল কবির জাহিদের উপস্থিতিতে সভা করার কথা থাকলেও অপর পক্ষ অডিটরিয়ামে তালা ঝুলিয়ে দেয়। উত্তেজনা মোকাবেলায় শুক্রবার সকাল থেকেই অডিটরিয়ামের আশেপাশে পুলিশ মোতায়েন ছিল। মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের এএসপি আবুল খায়ের ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।
জানা গেছে, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট রাজনগর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ২০২১ সালে গঠিত হয়। এতে সুলতান আহমদ সুনু আহ্বায়ক ও সুমন দেব সদস্য সচিব ছিলেন। গত ৯ আগস্ট জেলা আহ্বায়ক আহমেদ আহাদের স্বাক্ষরিত এক পত্রে রাজনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন দলীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করার কারণে দল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
শুক্রবার সকালেই জেলা আহ্বায়ক কমিটির নির্দেশে যুগ্ম আহ্বায়ক কাউসার আহমদসহ অন্যান্য সদস্যদের আহ্বানে কর্মীসভা ডাকা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. মো. জাহেদুল কবির জাহিদ।
তবে সভার স্থল বাতিলের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন সুলতান আহমদ সুনু। অব্যাহতি প্রাপ্ত আহ্ব্যাকের নেতৃত্বে কিছু নেতাকর্মী অনুষ্ঠানস্থলে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান নেন এবং বিভিন্ন শ্লোগান দেন। এতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল।
অব্যাহতি প্রাপ্ত আহ্বায়ক সুলতান আহমদ সুনু বলেন, আমি কোনো অব্যাহতিপত্র পাইনি। সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূতভাবে এটি লেখা হয়েছে। আমাদের অন্যায়ভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা আমরা মানি না।
জু্যগ আহ্বায়ক কাউসার আহমদ তালুকদার বলেন, সবাইকে নিয়ে কর্মীসভা করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে কিছু নেতাকর্মী এসে বাধা দিয়েছেন। আমরা সংঘাত চাই না। অব্যাহতি প্রাপ্ত আহ্বায়ককে সম্মেলনের আগে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোবারক হোসেন খান জানান, এক পক্ষের ডাকায় কর্মীসভায় অন্য পক্ষ বাধা দিয়েছে। পরে উভয়পক্ষ আলাপের মাধ্যমে গোবিন্দবাটিতে কর্মীসভা করার সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।
