সিরাজগঞ্জে ভাঙন রোধে তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন

সিরাজগঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চারটি নদীর বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ ভাঙন রোধে ৩৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় সাড়ে ১৭ কিলোমিটার নদীর ডানতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে ভাঙন রোধে এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শাহিন রেজা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, জেলার রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর ও কামারখন্দ উপজেলার ফুলজোড়, করতোয়া, বাঙ্গালী ও হুরাসাগর নদীর বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ ভাঙন রোধে ডানতীর সংরক্ষণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ৩৬৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড দীর্ঘমেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়নে দরপত্র আহ্বান করে। সরকারি বিধিমতে ৩৪টি প্যাকেজে ২৪ জন ঠিকাদার নির্বাচিত হন এবং ২০১৯ সালের জুন থেকে কাজ শুরু হয়। প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদি হলেও নানা জটিলতার কারণে একাধিকবার সময় বাড়ানো হয়েছে। নদীর তীর সংরক্ষণের উল্লেখযোগ্য স্থানগুলো হলো ঝাটিবেলাই, মুগবেলাই, ধানগড়া, বড়হর, ব্রক্ষ্মগাছা ও হুরাসাগর।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধানে প্রকল্পের কাজ যথানিয়মে দেখাশোনা ও নজরদারি করা হয়েছে। এ প্রকল্প পরিচালক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, বগুড়া পানি উন্নয়ন সার্কেল, পাউবো ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও কাজ পরিদর্শন করেছেন।

জনস্বার্থে এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য নদীর ডানতীর ভাঙন থেকে আবাসিক ভবন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাটবাজার, সরকারি-বেসরকারি অবকাঠামো ও কৃষি জমি ও রাস্তাঘাট রক্ষা করা। এছাড়া নদীর উজানে এবং ভাটিতে ইতিপূর্বে সম্পাদিত তীর প্রতিরক্ষামূলক কাজ রক্ষা করা, নদীর বন্যা প্রতিরোধ করা, নদীর গতিপথ পরিবর্তন প্রতিরোধ করা এবং সামাজিক নিরাপত্তাসহ এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন অব্যাহত রাখা। প্রকল্পের কাজ গত জুন মাসে শেষ হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, প্রকল্পের কাজ কঠোর নজরদারি ও তদারকির মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়েছে। এতে নদীর ভাঙনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অবকাঠামো ও ফসলি জমি ভাঙন থেকে রক্ষা পেয়েছে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো প্রকার অনিয়মের আশ্রয় নেয়া হয়নি।