কিশোরগঞ্জে হাসপাতালের পরিচালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:২৩ | অনলাইন সংস্করণ

  কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. হেলিশ রঞ্জন সরকারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে আউটসোসিংয়ে কর্মরত এক নারী কর্মচারী।

আজ (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আমিনুল ইসলাম রতন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গতকাল রবিবার কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–১ আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ নূরুল আমিন বিপ্লব মামলাটি আমলে নিয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, বাদী ও বিবাদী উভয়ই বিবাহিত। বাদীর স্বামী লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। চাকরির পাশাপাশি বাদী আইন বিষয়ে পড়াশুনা করছেন। বাদীকে বিভিন্ন সময় চাকরিচ্যুতির ভয় দেখিয়ে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক শারীরিক সম্পর্কের চেষ্টা করেছেন। তিনি বিবাহিত, পিতার বয়সী এবং অন্য ধর্মের হলেও বাদীকে বিয়ে করার চেষ্টা করেছেন। অকারণে বিভিন্ন সময় তাকে রুমে ডেকে নিয়ে শরীরে হাত এবং কুপ্রস্তাব দিয়েছেন। রাজী না হলে চাকুরিচ্যুতি বা গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দিতেন। মোবাইল ফোনে কুরুচিপূর্ণ ম্যাসেজও পাঠিয়েছেন। বিষয়টি ডা. হেলিশ রঞ্জনের স্ত্রী জানার পর তিনিও তাকে শাসিয়েছেন।

গত ২১ আগস্ট ডা. হেলিশ রঞ্জন বাদীকে হাসপাতালের কোয়ার্টারে ডেকে ধর্ষণ করেন। চাকরিচ্যুতি এবং স্বামীর অসুস্থতা কারণে বাদী মুখ খুলেননি। পরে ২৬ আগস্ট বিকেলে আবারও ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ডাক-চিৎকারে স্টাফ ও দর্শনার্থীরা বাদীকে উদ্ধার করেন।

এই সময় ডা. হেলিশ রঞ্জন তাকে বিবাহিত স্ত্রী বলে পরিচয় দিয়ে রক্ষা পান। এরপর তিনদিনের মধ্যে সমাধানের চেষ্টা করা হলেও বাদী ব্যর্থ হন। থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মামলা গ্রহণ না করার অভিযোগে বাদী বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

বক্তব্য জানতে চাইলে ডা. হেলিশ রঞ্জন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। হোয়াটসঅ্যাপে খুদেবার্তা পাঠালেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, মামলার বিষয়টি জানছি, তবে কোর্টের আদেশের কপি হাতে পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।