ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধভাবে বালি উত্তোলন, ২ জনের কারাদণ্ড
হামলা চালিয়ে জব্দকৃত ড্রেজার ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:০৩ | অনলাইন সংস্করণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের অভিযোগে দুইজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে মেঘনা নদীর চর সোনারামপুর এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— কিশোরগঞ্জের ভৈরবের আব্দুর রশিদের ছেলে আহমদ আলী ও নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার শাহজাহান মিয়ার ছেলে আমজাদ হোসেন।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট রাফে মোহাম্মদ ছড়া এই অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় বালি উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত ৪টি ড্রেজার ও ৫টি বাল্কহেড জব্দ করা হয়েছে। তবে আরো একটি ড্রেজার বালি উত্তোলনকারীরা প্রশাসনের লোকজনদের উপর হামলা চালিয়ে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট রাফে মোহাম্মদ ছড়া জানান, মেঘনা নদীর ভৈরব প্রান্তে ইজারা নিয়ে নির্ধারিত সীমানার বাহিরে এসে আশুগঞ্জ প্রান্তের চর সোনারামপুর এলাকায় গভীর রাত থেকেই একটি চক্র ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে আসছে। গত বৃহস্পতিবারও ৫টি ড্রেজার জব্দ করা হয়েছিল। এবং তাদের বালু উত্তোলন করতে নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্তু আবারো চক্রটি প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গভীর রাত থেকে বালি উত্তোলন শুরু করে। খবর পেয়ে গতকাল সকালে ৫টি ড্রেজার ও ৫টি বাল্কহেড জব্দ করা হয় এবং ২ জনকে আটক করা হয়। জব্দকৃত ৫টি ড্রেজার ও ৫টি বাল্কহেড তীরে নিয়ে আসার সময় ভৈরব উপজেলা বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই তারেকের নেতৃত্বে একটি চক্র হামলা করে এমবি মরিয়ম ড্রেজার জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। এ সময় আমাদের জোরপূর্বক ভৈরবে দিকে নেয়ার চেষ্টা করে। পরে আমরা দ্রুত স্পিডবোটের মাধ্যমে চলে আসি। এ ঘটনায় সরকারী কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে আশুগঞ্জ থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে। আমাদের নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে।
অভিযোগ অস্বীকার করে ভৈরব উপজেলা বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, বালুমহলের ইজারাদার তার ছোটভাই তানভীর আহমেদ সরকারি বিধি অনুযায়ী ভৈরব অংশের মেঘনা নদীর নির্ধারিত সীমানা থেকেই বালু উত্তোলন করছে। আশুগঞ্জ অংশে যায়নি। আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হয়রানি করছেন।
