নকলায় ভিডব্লিউবি কর্মসূচির নতুন কার্ড বিতরণ
প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:৫১ | অনলাইন সংস্করণ
নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি

শেরপুরের নকলায় ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ২ হাজার ১৬৯ নারী সুবিধাভোগীর মাঝে নতুন কার্ড বিতরণ কার্যক্রম চলছে।
এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার বানেশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদে এ কর্মসূচির কার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বানেশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাজহারুল অনোয়ার মহব্বত।
এসময় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসরিন জাহান, উপজেলা যুবদলের যুগ্মআহবায়ক খন্দকার তোফায়েল আহমেদ মাসুদ, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মুস্তাক আহম্মেদ, উপজেলা তারেক পরিষদের সাবেক যুগ্মআহবায়ক মেহেদী হাসান মিলন, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা সাইফুন নাহার চৈতিসহ সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য ও সাধারণ সদস্যগণ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত স্থানীয় সাংবাদিকগণ, ভিডব্লিউবি কর্মসূচির সুবিধাভোগী অসচ্ছল, বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত দুইশতাধিক নারী ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত গ্রাম পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক বিতরণকৃত নতুন এই কার্ডের অনুকূলে অসচ্ছল, বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের ভিডব্লিউবি কর্মসূচির মাধ্যমে ২ বছর মেয়াদে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে বিনামূল্যে চাল প্রদান করা হবে। তবে সুবিধাভোগী প্রতি নারীকে প্রতি মাসে সঞ্চয় স্বরূপ ২২০ টাকা হারে জমা করতে হবে। দুই বছর মেয়াদ শেষে সঞ্চয়ের জমানো টাকা তাদেরকে ফেরত দেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
তথ্য মতে, উপজেলার ২ হাজার ১৬৯ জন ভিডব্লিউবি কর্মসূচির সুবিধাভোগী নারীর মধ্যে গনপদ্দী ইউনিয়নের ২৯৩ জন, নকলা ইউনিয়নের ২২৩ জন, উরফা ইউনিয়নের ২৭১ জন, গৌড়দ্বার ইউনিয়নের ১৪১ জন, বানেশ্বরদী ইউনিয়নের ২০৫ জন, পাঠাকাটা ইউনিয়নের ২৬৪ জন, টালকী ইউনিয়নের ২০৭ জন, চরঅষ্টধর ইউনিয়নের ২৬৬ জন ও চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের ২৯৯ জন অসচ্ছল, বিধবা ও তালাক প্রাপ্ত নারীকে এই কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে।
সরকার জীবনচক্র ভিত্তিক কাঠামোর আওতায় অসচ্ছল মহিলাদের (বিধবা, তালাকপ্রাপ্তা, অসচ্ছল মহিলা) উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় আনার জন্য এ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এ কার্যক্রমে ‘স্বনির্ভরতার জন্য সহায়তা’ মূলনীতি অনুসরণ করে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষার আলোকে স্থায়ীভাবে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ে সচেতনতা প্রদান ইত্যাদি উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। উপকারভোগীরা সঞ্চয় ব্যবস্থাপনার আওতায় প্রতি মাসে নিজ অ্যাকাউন্টে ২২০ টাকা করে সঞ্চয় জমা করবেন, যা ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রারম্ভিক মূলধন গঠন হিসেবে কাজ করে। এই সঞ্চয় নারীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে ভূমিকা রাখবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
