আমন ধানের চারার যত্নে ব্যস্ত শেরপুরের কৃষক
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:০৬ | অনলাইন সংস্করণ
মো. ছামিউল আলম, শেরপুর

বাংলাদেশে ধান উৎপাদনের তিনটি মৌসুমের একটি হলো আমন। এটিকে হেমন্ত ঋতুর ধান বলা হয়। সাধারণত জুন–জুলাই মাসে রোপণ করা হয় আমন, আর কাটা হয় অক্টোবর–নভেম্বর মাসে। সীমান্তঘেঁষা কৃষিপ্রধান শেরপুর জেলায় এ মৌসুমে বুকভরা আশা নিয়ে আমন ধানের চারা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
ধানের চারায় যাতে কোনো প্রকার ক্ষতি না হয়, সে জন্য কৃষকেরা নানা উপায়ে পরিচর্যা চালাচ্ছেন। শেরপুরের কৃষক আলহাজ মো. ইয়াদ আলী জানান, মাজরা পোকা ও পাতা মুড়ানো পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে বর্তমানে ক্ষেতে বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক দেওয়া হচ্ছে। প্রতি কাঠা জমিতে ওষুধ ছিটানোর জন্য শ্রমিককে ২০ টাকা মজুরি দিতে হয়। তিনি আরও জানান, এ অঞ্চলে কৃষকেরা বিভিন্ন জাতের আমন ধান চাষ করছেন, যার মধ্যে স্বর্ণগুটি ও বিআর-১১ ধান সবচেয়ে বেশি রোপণ করা হয়েছে।
শেরপুর জেলা কৃষি কর্মকর্তার তথ্য অনুযায়ী, জেলার পাঁচটি উপজেলায় মোট ৯৩,৭২০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে।
এর মধ্যে শেরপুর সদর উপজেলায় ২৪,৭৩০ হেক্টর, নকলা উপজেলায় ১৩,১১০ হেক্টর, নালিতাবাড়ী উপজেলায় ২৩,২৬০ হেক্টর, ঝিনাইগাতি উপজেলায় ১৪,৬৬০ হেক্টর এবং শ্রীবরদী উপজেলায় ১৭,৯৬০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে।
নালিতাবাড়ী উপজেলাটি ভারতের সীমান্তবর্তী হওয়ায় পাহাড়ি ঢলের চিন্তায় কৃষকেরা সবসময় দুশ্চিন্তায় থাকেন। ঝিনাইগাতি উপজেলায় পাহাড়ি এলাকায় গজনী পাহাড়ের পাদদেশে ধান চাষ হয়, যা ওই অঞ্চলের কৃষকদের অন্যতম পরিচয় বহন করে।
শেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুসলিমা খানম নিলু জানান, কৃষি অধিদপ্তরের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের মাঝে ধান বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এর ফলে কৃষকেরা আমন ধানের চারা রোপণ করতে পেরেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এবারের মৌসুমে আমনের ভালো ফলন হবে।
