ভারসাম্যহীন যুবককে হত্যা, পুলিশের ওপর হামলা, আটক ১০
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:২৮ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়নগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সাজ্জাদ হোসেন (২৪) নামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে ছিনতাইকারী আখ্যা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে নাসিক ৬ নং ওয়ার্ডের আইলপাড়া কাটপট্টি এলাকার ক্রাউন সিমেন্ট ফ্যাক্টরির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাজ্জাদ ক্রাউন সিমেন্ট ফ্যাক্টরির একটি গাড়িতে ঢিল ছুড়লে তাকে আটকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরবর্তীতে অতিরিক্ত মারধরের ফলে সে মৃত্যুবরণ করে। সে ওই এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা অমানবিকভাবে সাজ্জাদকে হত্যা করা দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ক্রাউন সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে ভাঙচুর চালায়। পরবর্তীতে পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ঘটনাস্থলে গেলে বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের উপরও হামলা চালায়। একপর্যায়ে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) হাসানুজ্জামান উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হন।
পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে ক্রাউন সিমেন্টের একটি মালবাহী গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-শ-১৩-০৪৪৫) আইলপাড়ার ফ্যাক্টরি থেকে বের হয়ে এসও রোডের ঈদগাহের সামনে এলে প্রতিবন্ধী যুবক সাজ্জাদ গাড়িটিতে ঢিল মারে। এতে গাড়ির সামনের কাঁচটি ভেঙে যায়। পরে চালক-হেলপারসহ অন্যরা যুবককে ছিনতাইকারী ভেবে আটক করে বেদম মারধর করে। এতে ঘটনাস্থলেই সাজ্জাদ মারা যান।
হাবিব নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রাতে ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় গাড়িচালক ও হেলপার মিলে সাজ্জাদকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়। কয়েকজন নিষেধ করলেও কেউ শুনেনি। সকালে শুনলাম ছেলেটি মারা গেছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনূর আলম জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার দায়ের প্রক্রিয়া চলছে।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) হাসানুজ্জামান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আটকদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো যাবে।
পুলিশের উপর হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হৃদয়বিদারক ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয়রা সিমেন্ট কারখানাটি ভাঙচুর চালালে পুলিশ তাদের থামানোর সময় কিছু ঝামেলা হয়। পরে স্থানীয়দের বুঝিয়ে শান্ত করা হয়েছে।
