দেশের ভবিষ্যতের জন্য পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই: গাজী আতাউর রহমান
প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:৪১ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি

ফ্যাসিবাদ মুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ তখনই মাথাচাড়া দেয়, যখন ক্ষমতা এককভাবে কোনো দল বা ব্যক্তির হাতে সীমাবদ্ধ থাকে। একের অধিকবার সংবিধান সংশোধন করে ক্ষমতা স্থায়ী করার প্রচেষ্টা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য হুমকি। দেশের গণতান্ত্রিক ও সুশাসিত ভবিষ্যতের একমাত্র ভরসা হলো সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চাঁদপুর শহরের ঐতিহ্যবাহী হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এক বিশাল গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গাজী আতাউর রহমান বলেন, স্বাধীনতার পর যে সব দল ক্ষমতায় এসেছে, তারা দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে দুর্বল করেছে। পতিত সরকার জনগণের উপর জুলুম চালিয়েছে, গুম-খুন, চাঁদাবাজি ও কারাবন্দি করে দেশকে অস্থির করেছে। তিনি খুনিদের দৃশ্যমান বিচার এবং জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতির দাবি জানান।
তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতা জীবন বাজি রেখে দেশের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষা করেছে। নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন অপরিহার্য। এদেশে ইসলামী আন্দোলনের নেতৃত্বেই ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে, যেখানে সব ধর্মের মানুষ নিরাপদ থাকবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি ঘোষণা দেন চাঁদা আমরা নেব না, দুর্নীতি করব না; দুর্নীতি সহ্যও করব না। জনগণের ভোটাধিকার কার্যকরভাবে প্রতিফলিত করতে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনই হবে দেশের একমাত্র মুক্তির পথ।
সমাবেশে জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও কেএম ইয়াসিন রাশেদসানীর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য প্রার্থী শায়খুল হাদিস আল্লামা মকবুল হোসাইন, মুফতি মানসুর আহমেদ সাকী, মাওলানা শেখ মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, মুফতি উমর ফারুক ইব্রাহীম কাসেমী, আলহাজ মোহাম্মদ আলী পাটওয়ারী প্রমুখ।
এ সময় চাঁদপুর জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা বিল্লাল হোসেন মিয়াজী, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন, ইসলামী যুব আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা সংহতি প্রকাশ করেন।
দুপুর থেকে জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও উপজেলার মিছিল যোগে সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন নেতাকর্মীরা। হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে হাসান আলী হাইস্কুল মাঠ লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে।
