মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক আটক
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:৩০ | অনলাইন সংস্করণ
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় সাত বছরের এক শিশু শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক বলাৎকারের অভিযোগে এক মাদ্রাসার (নূরানী বিভাগ) সহকারী শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় মাদ্রাসা থেকে ওই শিক্ষককে আটক করা হয়।
আটককৃত মাদ্রাসা শিক্ষকের নাম মো. নোমান আহাম্মেদ (২১)। তিনি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার মুছাগাড়া গ্রামের মো. শাহজাহান মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, ৭ বছর বয়সী ঐ শিশু গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের চর বাউশিয়াস্থ গজারিয়া কলিম উল্লাহ মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। শিশুটির বাবা স্থানীয় একটা ফ্যাক্টরিতে চাকরির সুবাদে স্থানীয় চর বাউশিয়া (পশ্চিম কান্দী) গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। তাদের স্থায়ী বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার বেড়া ডাকুরী গ্রামে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় মাদ্রাসা থেকে অভিযুক্ত ঐ শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সে ভুক্তভোগী ঐ শিশুকে জোরপূর্বক একাধিক বার বলাৎকার-এর কথা স্বীকার করেছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর বাবা জানান, রোববার সকালে বাচ্চাটা যখন মাদ্রাসা যেতে চাচ্ছে না তখন তাকে কারণ জিজ্ঞাসা করলে জানায়, শনিবার বিকেল ৫টার দিকে মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থী যখন খেলার মাঠে ব্যস্ত, তখন ঐ শিক্ষক আমার ছেলেকে মাদ্রাসার বাথরুমে নিয়ে বলাৎকার করতে চাইলে সে চিৎকার-চেচামেচি করলে তখন তাকে ছেড়ে দেয়। এর পূর্বেও দুইবার বলাৎকার করেছে তাই আর মাদ্রাসায় যেতে চাচ্ছে না। আমি এই নরপিশাচের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে গজারিয়া কলিম উল্লাহ মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল কুদ্দুস ফারুকী বলেন, এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। ওই কুলাঙ্গার শিক্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
বিষয়টি নিয়ে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক ও শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
