চাঁদপুর মেডিকেলে প্রথমবারের মতো বৈজ্ঞানিক সম্মেলন ও বিজ্ঞান মেলা

প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ

  চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ও গবেষণামূলক কাজকে উৎসাহিত করতে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী বৈজ্ঞানিক সম্মেলন ও বিজ্ঞান মেলা।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল ভবনে মেডিকেল কলেজের ছাদে আয়োজিত এ মেলায় বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। দলভিত্তিকভাবে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা মেলার উদ্ভাবনী প্রকল্প ও গবেষণাধর্মী বিষয়গুলো দর্শনার্থীদের সামনে তুলে ধরেন।

মেলায় বিভিন্ন বিষয়ে একাধিক প্রেজেন্টেশন ২১টি স্টলে স্থান পেয়েছে। শিক্ষার্থীদের এসব দলভিত্তিক উদ্ভাবনী—শিক্ষকরা পরিদর্শন করে এবং তাদের বক্তব্য শুনে মূল্যায়নের ব্যবস্থা রেখেছেন। মূল্যায়ন কাজে মেডেকিলের শিক্ষক ও চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা অংশ নেয়।

তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী রবিউল হাসান বলেন, আমাদের প্রেজেন্টেশন হচ্ছে বাচ্চা জন্মের পর শ্বাস প্রশ্বাস নেয়া বিষয়। কিভাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে নবজাতক এই সমস্যা থেকে রক্ষা পাবে সে বিষয়টি খুব সহজে তুলে ধরা হয়েছে।

চতুর্থ ব্যাচের সাইদুল ইসলাম বলেন, আমাদের উদ্ভাবনী হচ্ছে বর্তমানে কোন ব্যক্তির কাছে মোবাইল না থাকলে এবং মোবাইল যারা ব্যবহার করে তাদের মধ্যে কি ধরনের সমস্যা দেখা দেয় এটির গড় দেখা। একই সাথে এই ধরনের সমস্যা থেকে বের হওয়ার উপায়গুলো তুলে ধরা হচ্ছে। পাশাপাশি মোবাইল ব্যবহারকারীদের বয়সের চিত্রও তুলে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।

মেডিকেলের তৃতীয় ব্যাচের সাদিয়া জাহান বলেন, হঠাৎ কোন ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে পড়লে কি করা প্রয়োজন। বিষয়টি চিকিৎসক ছাড়াও সাধারণ মানুষ কি ধরণের পদক্ষেপ নিলে একজন রোগী রক্ষা পাবে সে বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

৬ষ্ঠ ব্যাচের শাহিন আক্তার বলেন, এই ধরণের মেলা সরকারি মেডিকেলে এই প্রথম। আয়োজনে আমাদের মেডিকেলের সবগুলো বিভাগ অংশগ্রহণ করেছে। যার ফলে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে আমাদের ধারণা নেই, ওইসব বিষয়ে ধারণা নেয়ার সুযোগ হয়েছে।

চতুর্থ ব্যাচের শিক্ষার্থী মুমিতা জাহান বলেন, আমরা সবসময় একাডেমিক পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত থাকি। এই ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে বিনোদন যেমন পেয়েছি, তেমনি অনেক কিছু জানার সুযোগ হয়েছে। সবমিলিয়ে খুবই চমৎকার সময় কেটেছে।

কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. হারুন অর রশিদ বলেন, নানা সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে আমাদের মেডিকেল কলেজের সপ্তম ব্যাচের শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ক্যাম্পাসের সমস্যা থাকলেও শিক্ষার্থীরা যাতে তাদের অভাব বুঝতে না পারে এবং তাদের মেধার বিকাশ ঘটাতে পারে সে জন্য এই বৈজ্ঞানিক সম্মেলন ও বিজ্ঞান মেলা। আশা করি শিক্ষার্থীরা এতে অনেক উপকৃত হবে। ২১টি স্টলের নির্ধারিত বিষয়গুলো শিক্ষকরা মূল্যায়ন করছেন এবং বিজয়ীদের পুরস্কার ও সনদ দেয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, এই কলেজের প্রথম ব্যাচের দুইজন বিসিএস এ উত্তীর্ণ হয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন। আমাদের মূল ক্যাম্পাসের কাজ খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু হবে এবং শিক্ষার্থীরা নিজস্ব ক্যাম্পাস পাবে।