ভৈরবের প্রবল স্রোতে ভাঙলো ২ ব্রিজ, ঘরবন্দী হাজারো মানুষ
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গায় ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে জীবননগর উপজেলার সিংনগর বাঁওড়ের বাঁধ ভেঙে আসা পানির প্রবল স্রোতে ভেঙে পড়েছে সন্তোসপুর গ্রামে প্রবেশের একমাত্র ব্রিজ।
মঙ্গলবার রাতে কোন এক সময় সন্তোসপুর বাসস্ট্যান্ডের নিকট ব্রিজটি ভেঙে পড়ে।
এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সন্তোসপুর সহ মানিকপুর, রাজাপুর, রতিরামপুর, সিংনগর, ধোপাখালী ও মাধবখালী গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। স্কুলে পড়া ছেলে মেয়েরা স্কুলে যাওয়া, কৃষকদের কৃষি পণ্য ও ব্যবসায়ীদের মালামাল আনা নেওয়া একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। কর্মব্যস্ত মানুষজন অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই ভাঙা ব্রিজের ওপর দিয়ে পায়ে হেটে চলাচল করছেন।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, ব্রিজের একটি অংশ ভেঙে পড়ে গেছে। এছাড়াও ব্রিজের চারপাশে ফাটল দেখা গেছে। যখন তখন সম্পূর্ণ ব্রিজটি ভেঙ্গে পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়ে সরজমিনে পরিদর্শনে আসেন জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.আল-আমীন হোসেন।
এসময় তিনি বলেন, ভৈরব নদের পানির প্রবল স্রোতে দুইদিন আগে উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের একটি ব্রিজ ভেঙ্গে গেছে। আজকে আবার সন্তোসপুর গ্রামের ব্রিজটি ভেঙ্গে গেছে। ব্রিজটি এই এলাকার মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি পুননির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে। তারা দ্রুতই এর একটা ব্যবস্থা করে দেবেন। আর এখন মানুষ যেন যাতায়াত করতে পারে সেজন্য বিকল্প ব্যবস্থা কি করা যেতে পারে সে বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
জীবননগর উপজেলা প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম বলেন, ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ার খবর পেয়ে দেখতে এসেছি। এই ব্রিজটি স্বাধীনতা যুদ্ধের পরপরই নির্মান করা। এটা আমাদের এলজিডি ডিপার্টমেন্ট থেকে করা ছিল না। এটা পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে করা হয়েছে। এই ব্রীজের ওপর দিয়ে আমাদের একটা রাস্তা চলে গেছে। প্রাথমিকভাবে ব্রীজের যে অবস্থা দেখলাম তাতে করে এটা মেরামতযোগ্য না। নতুন করে ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে। আমরা আমাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে নতুন ব্রীজের জন্য প্রস্তাব পাঠাবো। তবে সময় লাগবে।
উথলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় প্রায় সাত থেকে আটটি গ্রামের মানুষ ঘরবন্দী হয়ে পড়েছে। স্কুলে পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের স্কুলে যাওয়া আজকে বন্ধ রাখা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার বলেন ব্রিজটি আমাদের গ্রামসহ আরও সাত থেকে আটটি গ্রামের একমাত্র চলাচলের রাস্তা। আমরা ঘরবন্দী হয়ে পড়েছি। বিকল্প উপায়ে পারাপারের ব্যবস্হা গ্রহণের জন্য কতৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি।
