‘আমরা সড়কে দুর্ঘটনা দেখতে চাই না, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে চাই’
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৫৭ | অনলাইন সংস্করণ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা সড়কে দুর্ঘটনা দেখতে চাই না। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে চাই। সেজন্য কাজ করছে বিআরটিএ। তার জন্য সবার সহযোগিতা দরকার।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের হলরুমে সাতক্ষীরা জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচ পরিবার ও এক আহতকে বিআরটিএ ট্রাস্টি বোর্ডের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রিপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিআরটিএ খুলনা ও বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক মো. জিয়াউর রহমান, সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মুকিত হাসান খান, বিআরটিএ সদর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (ইঞ্জি.) ফারুক আহমেদ, সাতক্ষীরা সার্কেলের সহকারী পরিচালক উসমান সরওয়ার আলম, সাতক্ষীরা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুস সোবহান খোকন প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ সাতক্ষীরা অফিসের মোটরযান পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম, মেকানিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট মো. ওবায়দুর রহমান, উচ্চমান সহকারী নাসিরউদ্দিন প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় কেউ মারা গেলে তার পরিবার অসহায় হয়ে পড়ে। একইভাবে কেউ আহত হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করলে তার জীবনে নেমে আসে দুর্বিষহ যন্ত্রণা। এসব কথা মাথায় রেখে সরকার আইন করে ওইসব পরিবারের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তাই দুর্ঘটনায় কেউ মারা যাওয়া বা আহত হওয়া সম্পর্ক আইনের বিষয়টি সাধারণ মানুষের মাঝে প্রচার করতে হবে। দুর্ঘটনায় অঅহত বা নিহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার চেয়ে সকলে মিলে দুর্ঘটনা শূন্যের কোটায় পৌঁছে দিতে সকলকে কাজ করতে হবে।
তবে অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, প্রধান সড়কে যাত্রীবাহী বাসের সাথে ব্যাটারিচালিত ভ্যান, ইঞ্জিন চালিত ভ্যান, ইজিবাইক, আলমসাধুর চলাচল ব্যাপক হারে বেড়েছে। এসব যানবাহনের অধিকাংশের বেল ও ব্রেক নেই। ফলে দুর্ঘটনা বাড়ছে। এ ছাড়া বেনাপোলসহ অন্যান্য বন্দরে যেভাবে পাসপোর্ট যাত্রী ও সাধারণ মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে সেইভাবে ভোমরা বন্দরে বাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধ সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে। চালকরা যাতে মাদকসেবন করে বাস না সেজন্য মালিকপক্ষকে সজাগ থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিআরটিএ এর ট্রাস্টি বোর্ড-এর সহায়তায় মঞ্জুরীকৃত অর্থ নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মাথাপিছু পাঁচ লাখ টাকার চেক নাজমা খাতুন, শোহানা খাতুন, আব্দুল খলিল সরদার, অপূর্ণা রেজা ও ফাতেমা খাতুনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া আহত জুলফিকার আলমের হাতে এক লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।
