মাদকবিরোধী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলছে ডিএনসি চাঁদপুর

প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:৪০ | অনলাইন সংস্করণ

  চাঁদপুর প্রতিনিধি

মাদক আজ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। উন্নত কিংবা অনুন্নত- প্রতিটি দেশই এর ক্ষতিকর প্রভাবের শিকার। বাংলাদেশেও মাদক একটি ভয়াল থাবার মতো সমাজ ও রাষ্ট্রকে গ্রাস করছে। শহর থেকে গ্রাম, তরুণ থেকে প্রৌঢ়- সবাই কোনো না কোনোভাবে এর শিকার হচ্ছে। আর এই মাদক থেকে সমাজকে রক্ষা করতে চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। সমাজ থেকে মাদককে নির্মূল করতে সাধারণ জনমনে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সহায়তা করছে ডিএনসি চাঁদপুর। মাদকের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনসচেতনতামূলক প্রচারণা ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে প্রতি মাসে।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমান।

প্রাপ্ত তথ্যে আরো জানা যায়, গত মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৬ মাসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাদকবিরোধী ৭২৫ অভিযান পরিচালনা করে ৭২টি মামলা দায়ের করে ৭৪ জন আসামি গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও অভিযানে ৭ হাজার ৫১৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৮ কেজি ৮৮০ গ্রাম গাঁজা, ২ লাখ ২৩ হাজার ৩০ টাকা নগদ অর্থ ৮টি মোবাইল সেট ও মাদক সেবনের বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করা হয়।

এছাড়াও মাদকের কুফল ও ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা, লেডি দেহলভী, এম এম নুরুল হক, ডি এন, বলাখাল চন্দ্রবান বালিকা, আইনগিরী উচ্চ বিদ্যালয়, বাবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, গল্লাক দারুচ্ছুন্নাত আলিম মাদ্রাসা, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজ এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা ও অভিভাবক সমাবেশসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

ডিএনসি চাঁদপুরের সহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, সমাজকে মাদকের ভয়াল ছোবল থেকে রক্ষা করতে হলে শুধু আইন প্রয়োগই নয়, সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা খুব দরকার। জনসচেতনতা না বাড়লে শুধু আইন প্রয়োগ করলে হবে না। তাই আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ পাড়া-মহল্লায় জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও আমরা মাদকবিরোধী বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রতিযোগিতার আয়োজন করছি।

তিনি আরো জানান, তরুণরাই দেশের ভবিষ্যৎ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে দেশের বিপুল সংখ্যক তরুণ আজ মাদকের ফাঁদে পড়ছে। প্রথমে কৌতূহল থেকে শুরু হলেও পরে আসক্তি তাদের জীবন ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। শিক্ষাজীবন নষ্ট হচ্ছে, পরিবার ভেঙে যাচ্ছে, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। মাদক একটি নীরব ঘাতক। এ ভয়াল থাবা থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হলে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রÍসবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে হলে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।