নকলায় ২০ মণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:৪৭ | অনলাইন সংস্করণ
নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি

মহালয়ার মাধ্যমে প্রতিটি হিন্দু পল্লিতে শুরু হয়েছে দুর্গোৎসব। শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে শেরপুরের নকলা উপজেলায় ২০টি মণ্ডপে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। প্রতিমা সাজসজ্জা ও রঙ করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির কারিগররা।
উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক দেবজিৎ পোদ্দার ঝুমুর জানান, এ বছর পৌরসভায় ৩টি, গনপদ্দী ইউনিয়নে ৫টি, নকলা ইউনিয়নে ২টি, উরফা ইউনিয়নে ৩টি, বানেশ্বরদীতে ১টি, পাঠাকাটা ইউনিয়নে ২টি, চরঅষ্টধর ইউনিয়নে ২টি ও চন্দ্রকোনা ইউনিয়নে ২টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে উপজেলার গৌড়দ্বার ও টালকী ইউনিয়নে মণ্ডপ স্থাপন না হওয়ায় সেসব এলাকার পূজারীরা পাশের এলাকার সুবিধাজনক মণ্ডপে পূজা করবেন।
উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সদস্যসচিব আশীষ কুমার সাহা জানান, এ বছর জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে দুর্গোৎসব উদযাপন হবে। প্রতিমা তৈরিতে কারিগররা নতুন নকশা ও রঙের ছোঁয়া দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ভক্তদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেবী দুর্গার আগমনে শান্তি ও সমৃদ্ধির বার্তা বয়ে আনবে। শস্য উৎপাদন বাড়বে, প্রকৃতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। দেবী দুর্গার আগমন জাতি ও বিশ্বমানবতার জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।’
নকলা কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী কালিমাতা মন্দির পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্রী উত্তম কুমার বণিক জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার দক্ষ কারিগর দ্বারা প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। এতে খরচ কিছু বেড়ে গেলেও প্রতিমাকে আকর্ষণীয় করতে নতুন নতুন ডিজাইন যুক্ত করা হয়েছে। পূজার প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে, এখন চলছে শেষ মুহূর্তের সাজসজ্জা।
শ্রী শ্রী কালিমাতা মন্দির পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রী সুরঞ্জিত কুমার বণিক জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে পূজা শুরু হয়ে ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের সমাপ্তি হবে। শাস্ত্রীয় মতে, এ বছর দেবী দোলায় (পালকি) চড়ে কৈলাসে ফিরে যাবেন।
