সিরাজগঞ্জে এবার আগাম ক্ষীরা চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছে কৃষকেরা
প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:৪৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এম তফিজ উদ্দিন, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে এবার আগাম ক্ষীরা চাষাবাদ শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই জমিতে ক্ষীরা বীজ রোপণ শুরু করেছেন কৃষকেরা। এ চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জে এবার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আগাম ক্ষীরা চাষাবাদের জন্য প্রায় ৩ শতাধিক হেক্টর জমি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষকেরা দেড়শ হেক্টর জমিতে খরিপ-২, দেশি ও হাইব্রিড জাতের ক্ষীরার বীজ রোপণ করেছেন এবং আরো জমি প্রস্তুত করা হচ্ছে।
শস্যভাণ্ডার খ্যাত তাড়াশ, উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ উপজেলা এবং কামারখন্দ, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলাসহ চরাঞ্চলে বেশি ক্ষীরা চাষাবাদ হচ্ছে। এছাড়া জেলার অন্যান্য স্থানে, নদী, খাল, বিল, বাড়ির আঙ্গিনা, পুকুরপাড় ও পতিত জমিতেও ক্ষীরা চাষাবাদ শুরু হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে নারীরাও বাগান ক্ষীরা চাষে পরিচর্যা করছেন।
কৃষকেরা বলছেন, এই লাভজনক চাষাবাদে খরচ কম হওয়ায় তারা ঝুঁকছেন। বিশেষ করে যমুনার তীরবর্তী চৌহালী, বেলকুচি, শাহজাদপুর, কাজিপুর ও সদর উপজেলার চরাঞ্চলে কয়েক সপ্তাহ আগেই আগাম ক্ষীরা চাষ শুরু হয়েছে এবং অনেক বাগানে পরিচর্যাও চলছে।
চরের উৎপাদিত ক্ষীরা আগামী মাসের মাঝামাঝি বাজারে উঠবে বলে আশা করছেন কৃষকেরা। উল্লাপাড়া উপজেলার প্রতাপ এলাকার কৃষক আব্দুল ওয়াহাব ও আব্দুর রাজ্জাক জানান, তারা প্রায় ২ বিঘা জমিতে ক্ষীরা চাষ করেছেন। গত বছরের তুলনায় এবার আগাম হাইব্রিড ক্ষীরা চাষে বেশি লাভবান হওয়ার আশা করছেন তারা।
কৃষি বিভাগ জানায়, উল্লাপাড়া উপজেলা ও চরাঞ্চলে প্রতিবছরই ক্ষীরা চাষে বাম্পার ফলন হয়। এবারো তেমন ফলনের আশা করা হচ্ছে। এ মাসের শেষ দিকে ক্ষীরার বীজ রোপণ শেষ হবে এবং প্রায় দুই মাসের মধ্যেই উৎপাদন শুরু হবে। স্থানীয় হাট-বাজারে নতুন ক্ষীরা উঠবে এবং বাজার ভালো থাকলে কৃষকেরা খুশি হবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক আ. জা. মু. আহসান শহীদ সরকার আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারো আগাম ক্ষীরা চাষাবাদে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। চলনবিল ঘেঁষা তাড়াশ ও উল্লাপাড়া উপজেলাসহ চরাঞ্চলে বেশি ক্ষীরা চাষ হচ্ছে। ইতিমধ্যেই চরাঞ্চলে ক্ষীরার বীজ রোপণ শেষ হয়েছে এবং পরিচর্যাও শুরু হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এবারো ক্ষীরার বাম্পার ফলন হবে।
