হোসেনপুরে বেড়েছে তেলের দাম, কমেছে চাল-সবজির

কিশোরগঞ্জ হোসেনপুরে খুচরা বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। তবে বেশ কয়েকমাস বাদে বাজারে চালের দাম সামান্য নিম্নমুখী। মূলত ভারত থেকে আমদানি বাড়ায় এ প্রভাব বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। অন্যদিকে, চড়া সবজির দামও কিছুটা কমেছে। তবে স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে আসেনি।

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে থেকে দুপুর পর্যন্ত হোসেনপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

গত সপ্তাহে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়াতে ব্যবসায়ীদের প্রস্তাব সরকার মেনে নেয়নি। সে কারণে বাজারে তৈরি হয়েছে অস্থিরতা। পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, তেলের দাম নতুন করে বাড়েনি, তবে কমিশন কমিয়ে দিয়েছে সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো। এতে বাজারে বেড়েছে খোলা সয়াবিন ও সুপার পাম অয়েলের দাম। গত তিন-চার দিনের ব্যবধানে এই দুই ধরনের তেলের দাম লিটারে পাঁচ টাকার মতো বেড়েছে।

এখন খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭২ টাকা। আর সুপার পাম অয়েলের লিটার বিক্রি হয়েছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়। চার দিন আগেও প্রতি লিটার খোলা সয়াবিনের দাম ১৬৯ এবং পাম অয়েলের দাম ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

চাল বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ভারত থেকে এখন সরু নাজিরশাইল ও মোটা কয়েক পদের চাল আমদানি হচ্ছে। এসব চালের দাম কমেছে। বর্তমানে বাজারে প্রতিকেজি নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮২ টাকায়, যা আগে ৮৬-৯০ টাকা ছিল। মোটা পায়জাম ও স্বর্ণা জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৬ টাকায়, যা কেজিপ্রতি ৪-৫ টাকা কমেছে। তবে মিনিকেট চাল আগের দামেই ৭৬ থেকে ৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

হোসেনপুর বাজারের ব্যবসায়ী আল-আমিন ভূঁইয়া বলেন, “বাহির থেকে প্রচুর চাল আসছে, তাই দাম কমছে। তবে দেশি যেগুলো মিনিকেট আছে, সেগুলো আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। আমদানি আরও বাড়লে দাম আরও কমতে পারে।”

অন্যদিকে, জগদল, পুমদী, গোবিন্দপুর, সূরাটি, হাজিপুর, রামপুর বাজারে দেখা গেছে, সবজির দাম কিছুটা কমলেও এখনো স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে আসেনি। প্রায় প্রতিটি সবজি এখন ৫০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে গত কয়েক সপ্তাহে সবজির দাম ৭০ থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল।

বাজারে এখন প্রতি কেজি পটল, ঢ্যাঁড়শ, ঝিঙার কেজি ৫৫ থেকে ৭০ টাকা। করলা, বেগুন, বরবটি, চিচিঙা কিনতে খরচ করতে হচ্ছে কেজিতে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। কম দামে পেঁপে ২০ টাকা এবং আলু ২০ টাকায় কেনা যাচ্ছে।

এদিকে, বাজারে মুরগি ও ডিমের দাম অপরিবর্তিত। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি ১৬৫ থেকে ১৭০, সোনালি জাতের মুরগি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়।