বদলে গেছে চুয়াডাঙ্গা পাসপোর্ট অফিস, খুশি সেবা গ্রহীতারা
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:৫১ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এখন আর দালালের দৌরাত্ম্য নেই। অফিসের মূল গেট ও দেয়ালে টাঙানো ব্যানার-ফেস্টুনে লেখা— ‘দালালের খপ্পরে পড়বেন না, দালাল ছাড়া চলে আসুন, আপনার সেবার দায়িত্ব আমাদের।’ প্রতিটি কোণায় সেবামূলক বার্তা ও সতর্কতামূলক নির্দেশনা চোখে পড়ে।
গেটের সামনে দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা শুধু আবেদনকারী ও সেবা প্রত্যাশীদের ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন। প্রতিটি কক্ষে কোন সেবা দেওয়া হচ্ছে তা তারা আন্তরিকতার সঙ্গে জানিয়ে দিচ্ছেন। ফলে অযথা কেউ ভেতরে ঢুকতে পারছেন না।
অফিসের ভেতরে আবেদন গ্রহণ থেকে শুরু করে ফিঙ্গারপ্রিন্ট, পাসপোর্ট ডেলিভারি— প্রতিটি ধাপে ফিরেছে শৃঙ্খলা। খুলে দেওয়া হয়েছে হেল্প ডেস্ক, বয়স্ক ও অসুস্থদের জন্য মোবাইল এনরোলমেন্ট ইউনিট। প্রতিদিনের গণশুনানি কার্যক্রমে সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান মিলছে, কমেছে হয়রানি ও ভোগান্তি।
উপ-পরিচালক এস এম জাকির হোসেনের যোগদানের পর এই দৃশ্যপট পুরোপুরি বদলে গেছে বলে জানিয়েছেন সেবা প্রত্যাশীরা।
সরেজমিনে জানা যায়, প্রতিদিন গড়ে ১৫০ থেকে ২০০টি ই-পাসপোর্ট আবেদন জমা পড়ছে এবং ১০০ থেকে ১৫০টি পাসপোর্ট ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে। অনলাইনে আবেদন করে নির্ধারিত সময়েই বেশিরভাগ আবেদনকারী পাসপোর্ট পাচ্ছেন। আবেদনকারীরা পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইট বা এসএমএসের মাধ্যমে হালনাগাদ তথ্য জেনে নিতে পারছেন।
এছাড়া পুলিশ ভেরিফিকেশনের ঝামেলাও নেই এখন। এতে একদিকে সেবার গতি বেড়েছে, অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব আয়ও বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর, দামুড়হুদা ও কলারোয়ার কয়েকজন আবেদনকারী জানান, নির্ধারিত সময়ে হাতে পাসপোর্ট পাওয়ায় তারা অত্যন্ত খুশি। ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা এবং উপ-পরিচালকের আন্তরিকতায় সন্তুষ্ট হলেও অফিসের অন্য কিছু কর্মচারীর আচরণ আরও সংযত ও আন্তরিক হওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মত দেন তারা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী হাসান আলী বলেন, আগে দালালের হাতে পড়তে হতো, এখন আর সে ঝামেলা নেই। ডিজিটাল সেবার কারণে ভোগান্তি অনেকটাই কমে গেছে।
উপ-পরিচালক এস এম জাকির হোসেন বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস বর্তমানে সেবার দিক থেকে প্রথম স্থানে রয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিকতা ও সহযোগিতায় আমরা এ সফলতা পেয়েছি। আমার অফিসের দরজা সবসময় খোলা, আবেদনকারীরা যেকোনো সময় আসতে পারেন। কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই পাসপোর্ট পাওয়া এখন সম্ভব।’
তিনি সেবা প্রত্যাশীদের দালালের কাছে না গিয়ে সরাসরি তার সঙ্গে যোগাযোগ করার আহ্বান জানান।
