বিয়ের দাবিতে যুবতীর অনশন, আত্মগোপনে প্রেমিক বাহার

প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৪১ | অনলাইন সংস্করণ

  ভোলা প্রতিনিধি

ভোলার বোরহানউদ্দিনে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক বাহার মিয়া (৩৫) নামের এক যুবকের ঘরের সামনে অনশন শুরু করেছেন সুদূর লালমনিরহাট থেকে আসা এক যুবতী। 

শনিবার সকাল থেকে উপজেলার কুতুবা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের হাজী বাড়িতে এ অনশন চলছে।

এদিকে প্রেমিকার উপস্থিতি টের পেয়ে বাহার মিয়া গা-ঢাকা দেন। যুবতী বাহার মিয়ার ঘরে প্রবেশ করলে তার সাবেক স্ত্রী ও মা-বোন মিলে ওই যুবতীকে বেধড়ক মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেন এবং ঘরে তালা মেরে অন্যত্র অবস্থান নেন।

বাহার গ্রামের দিন মোহাম্মদের ছেলে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভুক্তভোগী যুবতী ওই বাড়িতেই অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।

ভুক্তভোগী যুবতীর অভিযোগ, ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরির সুবাদে বাহার মিয়ার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু বাহার স্ত্রী-সন্তানের বিষয়টি গোপন রাখেন। সম্পর্কের সুবাদে তিনি বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে নিয়ে যান এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।

তিনি আরও জানান, সর্বশেষ গত ৭ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাহার মিয়া সোনারগাঁও থানার কাঁচপুর এলাকার তার ভাড়া বাসায় এসে বিয়ের প্রসঙ্গ এড়িয়ে জোরপূর্বক আবারও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।

এরপর থেকে বাহার মিয়া সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। কোনো খোঁজ না পেয়ে তিনি সরাসরি বাহারের গ্রামের বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেন।

যুবতীর দাবি, বাহার তার সম্মান নষ্ট করেছে, তাই তাকে বিয়ে না করা পর্যন্ত তিনি অনশন চালিয়ে যাবেন।

স্থানীয়রা জানান, বাহারের স্ত্রী-সন্তান থাকা সত্ত্বেও তিনি প্রতারণামূলকভাবে ওই মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক করেছেন। তাই মেয়েটি প্রতারিত হয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন। এ ঘটনায় বাহারের পরিবারের যারা তাকে মারধর করেছেন, তাদেরও শাস্তির দাবি জানান স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাহার মিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থল সোনারগাঁও থানাধীন। সেখানে অভিযোগ করলে আইনি সহায়তা পাবেন। তবে বোরহানউদ্দিন এলাকায় যদি তিনি শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকেন, অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’