সাংবাদিকের নামে কাফনের কাপড় পাঠানোর ঘটনায় মামলা
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:১৯ | অনলাইন সংস্করণ
পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি

রংপুরের মাই টিভির প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসানকে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় পীরগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় পীরগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মহিবুল ইসলাম, সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের শাখা ব্যবস্থাপকসহ চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাহমুদুল হাসান পীরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-৩৩/৩৮৩।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ এপ্রিল বিকেলে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ ও রংপুরের গঙ্গাচড়া থেকে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে সাংবাদিক মাহমুদুল হাসানের নামে দুটি পার্সেল আসে। এতে দুটি কাফনের কাপড় ও দুটি প্রিন্ট করা চিঠি ছিল। ওই চিঠিতে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
মাই টিভিতে কয়েকটি ধারাবাহিক সংবাদ প্রচার করায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানান মাই টিভির রংপুর ব্যুরো প্রধান মাহমুদুল হাসান।
একটি খামে লেখা ছিল, “অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি তোর কারণে। এবার আমার খেলা শুরু। ঠিকমতো পছন্দের খাবার খেয়ে নে রে হারামখোর।”
অন্য খামে লেখা ছিল, “ভাটা মালিকের কাজই মূলত সব সময় আগুন নিয়ে খেলা করা, তোর সময় শেষ। রংপুর মিঠাপুকুর বা সুবিধামতো জায়গায় পেলেই খেলা খতম।”
এর আগেও রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার চতরায় নকল গো-খাদ্য ভুষি তৈরির কারখানায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক মাহমুদুল হাসানসহ তিনজন সংবাদকর্মী হামলার শিকার হন।
সাংবাদিক মাহমুদুল হাসান জানান, পীরগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশ করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষের স্ত্রী ও বিভিন্নজনের মাধ্যমে তাকে সংবাদ প্রকাশে বাধা দেওয়া হয়েছিল। এমনকি মামলা করার দুই দিন আগে ওই অধ্যক্ষ তার সহকর্মীকে বলেন, “দেখি ওই সাংবাদিকের কত ক্ষমতা, আমার নামে মামলা দিয়ে কিছুই করতে পারবে না। পরে যেন সামলাতে পারে। সাংবাদিক হয়েছে তো কী হয়েছে।”
মাহমুদুল হাসানের অভিযোগ, ক্ষুব্ধ হয়ে অধ্যক্ষ মহিবুল ইসলাম তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হত্যার উদ্দেশ্যে এই কাজ করেছেন। তিনি প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করতে।
পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম মামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
