ছেলের বউকে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি, নিহত গৃহবধূর স্বামী আটক
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:১০ | অনলাইন সংস্করণ
রংপুর ব্যুরো

রংপুরে শ্বশুর কর্তৃক ছেলের বউকে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির পর গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের স্বামী সোহানকে আটক করেছে পুলিশ। সোহানকে পঞ্চগড় জেলার সদর থানার মিলগেট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি ক্রাইম তোফায়েল আহমেদ শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, সাড়ে তিন বছর পূর্বে বদরগঞ্জ থানার নাটারাম এলাকার মেনাজুল হকের মেয়ে মিতু আক্তার (২২) রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার বালাপাড়া গ্রামের রাজা মিয়ার ছেলে সোহান মিয়ারের সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন। সংসার জীবনে তাদের ১০ মাস বয়সী সন্তান রয়েছে।
সংসার জীবনে মিতু আক্তারের উপর শশুর রাজা মিয়ার কুন্জর পড়ত। বাড়িতে একা থাকা সময় রাজা মিয়া মিতু আক্তারকে যৌন নিপীড়নসহ ধর্ষণ করতেন। ভুক্তভোগি মিতু তার স্বামী ও পরিবারের অন্যদের বিষয়টি জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি। উল্টো, ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য হত্যা ও বিভিন্ন হুমকির মুখে পড়েছিলেন।
অতিষ্ঠ হয়ে মিতু শশুরের যৌন হয়রানির ঘটনা গোপনে মোবাইল ফোনে ভিডিও করে তার ভাইয়ের কাছে পাঠান। বিষয়টি জানাজানি হলে গৃহবধুর উপর নির্যাতন আরও বেড়ে যায়। ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে মিতু তার পরিবারের কাছে জানায়, গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু পরিবার এসে দেখে লাশ খাটলিতে রাখা হয়েছে এবং গলায় ফাঁস দেওয়ার কোনো চিহ্ন নেই। পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে নিহত মিতুর শশুর, স্বামী ও শাশুড়িসহ অন্যরা পলাতক ছিলেন। ১ অক্টোবর মিতুর পিতা মেনাজুল হক রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় চারজনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করে গ্রেফতার এবং ফাঁসির দাবি জানান।
পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান নিশ্চিত করে নিহত গৃহবধুর স্বামী সোহানকে গ্রেফতার করে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি ক্রাইম তোফায়েল আহমেদ জানান, গ্রেফতার সোহানকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে প্রেরণ করা হবে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
