পিআর পদ্ধতি অচল, নির্বাচনের প্রস্তুতিতে বিএনপি: সেলিম ভূঁইয়া
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ২০:০৬ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া বলেছেন, অন্তভর্তিকালিন সরকার যদি মনে করেন আগামী ১ মাসের মধ্যে নির্বাচন হবে, তাহলে বিএনপি সেই সময়ে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, যারা প্রপার প্রোপোরশনাল Representation (পিআর) পদ্ধতির কথা বলে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তারা কখনো সফল হবেন না। বাংলাদেশের জন্য পিআর একটি অচল পদ্ধতি। আমাদের পাশের দেশ নেপালে এই সিস্টেমের কারণে গত ১৭ মাসে ১০ বার সরকার গঠন হয়েছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটি হতে দেওয়া যাবে না।
শনিবার সকালে চাঁদপুর প্রেসক্লাব ভবনের নিচতলায় চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া বলেন, যারা জনগণের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখে না, তারা এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তবে তাদের উদ্দেশ্য কখনো সফল হবে না।
বিএনপি ইতোমধ্যেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে। সম্ভবত এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে দলের নেতা তারেক রহমান নির্বাচনী আসনগুলোতে কারা অংশ নেবেন তা নির্দেশ দেবেন।
তিনি আরও বলেন, যারা জান্নাতের টিকেট বিতরণের কথা বলে রাজনীতি করে, এটি অন্যায়। জান্নাতের টিকেট দেওয়ার একমাত্র ক্ষমতা আল্লাহর। কেউ আল্লাহ ছাড়া টিকেট দিতে পারে না। বিএনপির জাতীয়তাবাদী মহিলা দল শক্তিশালী। দেশের মহিলারা জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়াকে ভালোবাসেন এবং এ ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না।
অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া বলেন, বিএনপির রাষ্ট্র কাঠামোর ৩১ দফা বাস্তবায়নে দল কাজ করছে। এই ৩১ দফার মধ্যে রাষ্ট্র সংস্কার ও বিভিন্ন সংস্কারের দিকনির্দেশনা রয়েছে, যেগুলো দলের নেতা তারেক রহমান ভালোভাবে বোঝেন। আগামী দিনে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রে পরিণত করা হবে। তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপি আওয়ামী লীগের মতো সিঙ্গাপুর বানাবে না, বরং দেশের প্রকৃত সম্ভাবনা কাজে লাগাবে।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটি (কুমিল্লা বিভাগ) সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোস্তাক মিয়া। সভায় সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি ও উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন কর্মকর্তা, নেতৃবৃন্দ ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা।
