কালজানি নদীতে ভেসে আসছে হাজার হাজার গাছের গুড়ি

প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৪:৫০ | অনলাইন সংস্করণ

  কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

উজানের ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামের নদ-নদীর পানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে পানি বাড়ায় স্রোতের সাথে ভারতের অভ্যন্তর থেকে কালজানি নদী হয়ে ভেসে আসছে হাজার হাজার গাছের গুড়ি। ধারণা করা হচ্ছে, ভারি বৃষ্টিপাতে ভারতের অংশে বন হতে পানির স্রোতে এসব গাছ ভেসে আসছে। কাটা গাছের গুড়ির সাথে শেকড়সহ উপড়ে আসা গাছও পাওয়া যাচ্ছে।

রোববার বিকেল থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নানা উপায়ে এসব গাছ নদী থেকে সংরক্ষণ করছেন নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন।

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের ঢলডাঙা, শালঝোড় এলাকায় কালজানি নদীর পাড় থেকে এসব গুড়ি উদ্ধার করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় অনেকে জানান, ভেসে আসা বেশির ভাগ গাছ কেটে রাখায় গুড়ি গুলো ভেসে আসছে। তবে কিছু গাছ শেকড়সহ আসছে। ধারণা করা হচ্ছে, পানির স্রোতে বন থেকে উপড়ে আসছে এগুলো।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ভুটানের জয়গা এলাকা হয়ে হাসিমারা ফরেস্ট থেকে এসব কাঠ আসতে পারে। ভারতের সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের কাছ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। তারা বলছেন, কালজানীর উজানে ভারতের হাসিমারা বনাঞ্চল রয়েছে। সেখানে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করেছে এবং তীব্র স্রোত দেখা দিয়েছে।

অন্যদিকে ধারণা করা হচ্ছে, ভুটান ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলা দিয়ে কালজানি নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আশপাশের একাধিক বনাঞ্চল প্লাবিত হয়ে এসব কাঠের গুড়ি ভেসে আসতে পারে।

সংশ্লিষ্ট এলাকার অধিবাসী মনিরুজ্জামান জানান, নদীতে ভাসছে খালি গাছ আর গাছ। মাঝেমধ্যে মরা গরুও আসছে। মনে হচ্ছে অলৌকিক ঘটনা।

ঘাঁটিয়াল আবু সাইদ জানান, বিকেল ৩টার দিক থেকে গাছগুলো আসছে। যে যেভাবে পারছে তা সংগ্রহ করছে। তবে নদীর পানি মাত্রাতিরিক্তভাবে বাড়েনি। বন্যার সম্ভাবনা নেই।

শিলখুড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী বলেন, শুধু গাছ আর গাছ দেখা যাচ্ছে নদীতে। লোকজন নৌকা দিয়ে কখনো বা সাঁতরিয়ে গাছ ধরে সংগ্রহ করছে। এত গাছ কোত্থেকে আসছে বোঝা যাচ্ছে না। তবে ভারত থেকে আসছে এটা অন্তত নিশ্চিত।