গোয়ালন্দে মা ইলিশ সংরক্ষণে দায়সারা প্রচারণায় ক্ষুব্ধ জেলেরা

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৫ (৪ অক্টোবর-২৫ অক্টোবর) উপলক্ষে জেলেদের সচেতন করতে উপজেলায় হাট-বাজার, জেলেপাড়া ও নদীতে নৌর‌্যালি এবং প্রচার-প্রচারণা চালানোর কথা থাকলেও, কার্যক্রম শুরুর দুইদিন পর সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে দায়সারা ধরনের এক মতবিনিময় সভা করেছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় জেলেরা।

সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের (২য় সংশোধিত) অর্থায়নে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, ফেরিঘাট এলাকায় একটি সামিয়ানা টানিয়ে কয়েকটি চেয়ার বসিয়ে সভার আয়োজন করা হয়। অল্প কয়েকজন জেলে উপস্থিত থাকলেও অধিকাংশ জেলে ছিলেন অনুপস্থিত। একদিনের নোটিশে তড়িঘড়ি করে অনুষ্ঠান আয়োজন করায় জেলেরা সভায় অংশ নেননি।

মৎস্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতি বছর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সচেতনতামূলক সভা-সমাবেশ, হাট-বাজার ও জেলেপাড়ায় মাইকিং, পোস্টার-লিফলেট বিতরণ, ব্যানার-সাইনবোর্ড টানানো, গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, নদীতে নৌর‌্যালি আয়োজন এবং পরিবহন মালিক সমিতিগুলোকে সচেতন করার কথা থাকলেও এবার সেসব কার্যক্রম চোখে পড়েনি।

জেলেরা সরাসরি এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ ও বিপণন বন্ধ থাকবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা ও শাস্তি প্রদান করবে প্রশাসন। এছাড়া জেলেদের আর্থিক সুরক্ষায় এনজিওগুলোকে কিস্তি আদায় বন্ধ রাখতে অনুরোধ জানানো হবে।

গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট দায়সারা উত্তর দিয়ে বলেন, “আমরা এবছর অনেক দেরিতে চিঠি পেয়েছি। তাছাড়া পূজার ছুটির কারণে সময়মতো সভা করতে পারিনি। তাই এখন সভা করে জেলেদের অবহিত করছি।”

সভা শেষে জব্দকৃত ইলিশ মাছ ও জাল জনসমক্ষে বিতরণ এবং পুড়িয়ে ফেলার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।