কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে মুন্সীগঞ্জে জাতীয় ওলামা পরিষদের মানববন্ধন
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:১১ | অনলাইন সংস্করণ
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল কর্তৃক কোরআন অবমাননার প্রতিবাদ ও অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মুন্সীগঞ্জে মানববন্ধন করেছেন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক চত্বরের সামনে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে কোরআন অবমাননাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।
জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের মুন্সীগঞ্জ জেলা ও সদর উপজেলা শাখা যৌথভাবে এই কর্মসূচির আয়োজন করে। মানববন্ধনে জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের ওলামা, কেরাম ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা অংশ নেন।
আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা সাঈদ আহমদের সভাপতিত্বে এবং মুন্সীগঞ্জ জেলা ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল হান্নান কারিমী ও সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুস সালাম সৈয়দপুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি সানাউল্লাহ কাসেমী।
মুফতি সানাউল্লাহ কাসেমী বলেন, “গতকালের ভিডিওটা যারা দেখেছে, তাদের সবার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমরা হৃদয়ের রক্তক্ষরণ নিয়ে বারবার রাজপথে দাঁড়াই, কিন্তু এর সমাধান পাই না। যারা এ ধরনের ধর্ম অবমাননা করে, তারা নির্দিষ্ট একটা এজেন্ডা নিয়ে কাজ করে। আমরা দেখেছি শুধু ইসলাম নয়, মাঝেমধ্যে পুরো ধর্মব্যবস্থার বিরুদ্ধে গিয়ে নাস্তিকতার এজেন্ডা সার্ভ করতে চায়। সরকারের উচিত ধর্ম অবমাননাকারীদের জন্য সুনির্দিষ্ট আইন করে শাস্তির ব্যবস্থা করা।”
মুন্সীগঞ্জ সদর ও গজারিয়া তিন আসনের হাত পাখা মার্কার এমপি পদপ্রার্থী মাওলানা মাহমুদুল হাসান সুমন দেওয়ান বলেন, “পবিত্র কোরআন পুরো মানবজাতির জন্য আলোর দিশারি। সেই কোরআন অবমাননার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই। কোরআন ও ধর্ম অবমাননাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি — মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার দাবি জানাই।”
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা সভাপতি মাওলানা সাদেকুল ইসলাম, জেলা সহ-সাধারণ সম্পাদক মুফতি বেলাল কাসেমী, মিরকাদিম পৌর শাখার সভাপতি মুফতি আসলাম, ছাত্র আন্দোলন জেলা সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল, ইসলামী যুব আন্দোলন জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর থানার সভাপতি মোহাম্মদ কাওসার হামিদসহ জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও শাখার দায়িত্বশীল ওলামা ও তৌহিদী জনতা।
বক্তারা বলেন, “ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার এই অপরাধে অভিযুক্তকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন ধৃষ্টতা দেখানোর সাহস না পায়।”
