চাঁদপুরে ক্লু-লেস হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২১:৩২ | অনলাইন সংস্করণ

  চাঁদপুর প্রতিনিধি

জেলা চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মিজানুর রহমান হত্যার ঘটনায় ক্লু-লেস হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি মো. নাহিদ গাজী (৩৫)-কে ঢাকার বাড্ডা থানা এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতে গ্রেপ্তারকৃত নাহিদ গাজীকে আদালতের মাধ্যমে চাঁদপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হক।

গ্রেপ্তারকৃত নাহিদ গাজী চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার এখলাসপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের মো. হান্নান গাজীর ছেলে।

নিহত মিজানুর রহমান একই উপজেলার এখলাছপুর ইউনিয়নের পশ্চিম এখলাছপুর মিজি বাড়ির ফয়েজ উল্ল্যাহর ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, নিহত মিজানুর রহমান পেশায় একজন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক। প্রায় ২৫ বছর আগে নদীতে বাড়ি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে তিনি পরিবারসহ নারায়ণগঞ্জে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তবে পৈতৃক ও নানার বাড়ি এখলাছপুরে হওয়ায় মাঝে মাঝে তিনি সেখানে বেড়াতে আসতেন।

আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১৩ আগস্ট রাত ১টা থেকে ভোর ৫টার মধ্যে মতলব উত্তর উপজেলার হাশিমপুর গ্রামের মিন্টুর দোকানের সামনে মিজানুর রহমানকে মারধর করে মাথায় গুলি করে হত্যা করে অজ্ঞাতরা। পরে সকালে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। ওইদিনই নিহতের স্ত্রী শারমিন আক্তার অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মতলব উত্তর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।  
পরে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান মতলব উত্তর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন। তার নেতৃত্বে বুধবার (৮ অক্টোবর) রাতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নির্দেশে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে আসামি নাহিদ গাজীকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।

এসআই দেলোয়ার হোসেন বলেন, এটি একটি ক্লু-লেস হত্যাকাণ্ড ছিল। ঘটনার পর নাহিদ তার ছোট ভাই নাজমুলের মোবাইলফোন দিয়ে নূরু খালাসী নামে এক ব্যক্তিকে কল করে বলেন, ‘মিজানকে মেরে ফেলেছি, এবার তোর পালা। ’ এই সূত্র ধরেই হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়। বহু চেষ্টা শেষে অবশেষে নাহিদকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।

মতলব উত্তর থানার ওসি মো. রবিউল হক বলেন, গোপন খবর পেয়ে বুধবার ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে নাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার তাকে চাঁদপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।