ঈশ্বরদীতে ইজারা দ্বন্দ্বে গুলিবিদ্ধ দুই যুবকের স্বজনদের আর্তনাদ

প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২২:১৬ | অনলাইন সংস্করণ

  ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদীর নৌ চ্যানেলের ইজারা দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দুই যুবক। এ ঘটনায় আতঙ্কে ভুগছে পুরো এলাকা।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে সাড়া ইউনিয়নের ক্যানেলপাড়া এলাকায় জীবনের নিরাপত্তা দাবি করে ভুক্তভোগী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের আয়োজিত মানববন্ধনে গুলিবিদ্ধ যুবকদের স্বজনরা অঝোরে কেঁদে প্রতিবাদ জানায়।

মানববন্ধনে গুলিবিদ্ধ নিজাম (২৫)-এর মা ফাহিমা খাতুন এবং গুলিবিদ্ধ সজিব (৩০)-এর দাদী রিজিয়া বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আল্লাহ, আমার সন্তানের প্রাণ ভিক্ষা দাও। তারা কোনো অপরাধ করেনি, তবু কেন গুলি করলো? আমরা গরিব মানুষ, আমাদের ওপর এত অত্যাচার কেন?’

স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ৬ অক্টোবর পদ্মার সাড়াঘাট এলাকায় নৌ চ্যানেলের খাজনা আদায় নিয়ে ইজারাদার এটি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মেহেদী হাসানের লোকজনের ওপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান গ্রুপঅন সার্ভিসেস লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী খান্দকার সোহেল গ্রুপের সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা ও গুলিবর্ষণ করে। এতে নিজাম ও সজিব নামে দুই যুবক গুরুতর আহত হন। তারা বর্তমানে ঢাকার মহাখালী বক্ষব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া এলাকাবাসীরা প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, “প্রশাসনের অবহেলা ও ব্যর্থতার কারণেই এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।”

তারা নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে তাঁর অপসারণ দাবি করেন।

লক্ষীকুন্ডা নৌ–পুলিশ ফাঁড়ির ওসি মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার দিন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং এখন নদী এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সে বিষয়ে সতর্ক রয়েছে পুলিশ।

ইউএনও মো. মনিরুজ্জামান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি সদ্য দায়িত্ব নিয়েছি, এখনো বিষয়গুলো ভালোভাবে জানার সুযোগ হয়নি। শুনেছি, নদীর বালুমহল দখল নিয়ে একটি গ্রুপ এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত। আমি নৌ–পুলিশসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি।”