
সারাদেশের ন্যায় রংপুরের পীরগঞ্জেও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ৩ দফা দাবি বাস্তবায়ন ও শিক্ষক নির্যাতনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার পীরগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্বরে প্রতিবাদ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। এ কর্মসূচির আয়োজন করে “এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট”।
পীরগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চতরা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমির মাওলানা মিজানুর রহমান, পীরগঞ্জ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান, বাশিদস শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু আজাদ বাবলু, চতরা বিজ্ঞান ও কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রব প্রধান, পীরগঞ্জ বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আব্দুল করিম সরকার, শিক্ষক নেতা ময়নুল ইসলাম, আজাদ মিয়া, শাহিনুর ইসলাম ও মাওলানা ইদ্রিস আলী।
এ সময় একাত্মতা প্রকাশ করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মারুফ আহমেদ, ইসলামী আন্দোলনের নেতা সুলতান মাহমুদ ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতা রুহুল আমিন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, “শিক্ষকদের এ আন্দোলন জল কামান, লাঠিচার্জ করে দমন করা যাবে না। আমাদের এই যৌক্তিক দাবি মেনে না নিলে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।”
তারা আরও বলেন, “একদিকে সরকার শিক্ষার মানোন্নয়নে নানা পরিকল্পনা ও কর্মসূচির ঘোষণা দিচ্ছে, অন্যদিকে সেই শিক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম চালিকাশক্তি—বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার লড়াইয়ে প্রতিদিন নিঃশেষ হচ্ছেন।”
দীর্ঘদিন ধরে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা দাবি জানিয়ে আসছেন—মূল বেতনের ওপর যৌক্তিক হারে বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধি, উৎসব ভাতা শতভাগ প্রদান, এবং সবচেয়ে বড় দাবি বেসরকারি শিক্ষার জাতীয়করণ। এই দাবির পেছনে রয়েছে তাদের বাস্তব জীবনযুদ্ধের নির্মম অভিজ্ঞতা।
তাই বক্তারা সরকারকে অবিলম্বে এসব দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।