পুঠিয়ায় প্রবাসীর নাবালিকা কন্যা নিখোঁজের দুদিনেও উদ্ধার হয়নি

প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:৫৫ | অনলাইন সংস্করণ

  রাজশাহী ব্যুরো

রাজশাহীর পুঠিয়ায় ওমান প্রবাসীর মেয়ে, দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী (১৫) নিখোঁজ হয়েছে। দুই দিন পার হলেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। রবিবার সকালে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার কার্ত্তিকপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে পুঠিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

নাবালিকা স্কুলছাত্রীর মা শিরিনা বেগম জানান, “আমার মেয়ে বড়বড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। কার্ত্তিকপাড়ার লালন মাস্টারের কাছে প্রাইভেট পড়ে। রবিবার সকালে প্রাইভেট পড়তে যায়, তারপর আর বাড়ি ফিরে আসেনি। আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি।”

তিনি আরও জানান, “খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, বড়বড়িয়া গ্রামের আব্দুলের কলেজ পড়ুয়া ছেলে সেলিম (২২) জোর করে আমার মেয়েকে ধরে নিয়ে গেছে। তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা সোমবার সকালের মধ্যে মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু সোমবার বিকেল পর্যন্তও ফিরিয়ে দেয়নি। আমরা থানায় অপহরণের মামলা করতে গেলে পুলিশ ঘটনাটি জিডি আকারে নেয় এবং জানায়, সোমবার সকালের মধ্যে মেয়েকে খুঁজে এনে দেবে। কিন্তু বিকেল পেরিয়ে গেলেও মেয়েকে উদ্ধার করা যায়নি।”

প্রাইভেট শিক্ষক লালন মন্ডল বলেন, “রবিবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে ওই ছাত্রী ও তার চাচাতো বোন পড়তে আসে। সে সময় আমি দোকানে ছিলাম। ছাত্রীটি রাস্তার উপর থেকে তার বোনকে রুমের চাবি আনতে পাঠায়। পরে আমি দোকান বন্ধ করে রুমে গিয়ে দেখি কেউ নেই। তারপর শুনি সে নিখোঁজ হয়েছে।”

ছেলে সেলিমের চাচা তাজুল ইসলাম বলেন, “আমার ভাতিজার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। তারা আমার নামে মামলাও করেছিল। আমি গাড়ি চালানোর কাজে বাইরে আছি, তাদের কোনো খবর আমার জানা নেই।”

এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শামীম জানান, “আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করছি। তাদের একটি মোবাইল নম্বর পেয়েছি, তবে সেটি বন্ধ রয়েছে। এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলেছি, সেও কোনো তথ্য দিতে পারেনি। আমরা উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”

পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবীর হোসেন বলেন, “এ ঘটনায় থানায় একটি জিডি হয়েছে। আমরা উদ্ধার প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। উদ্ধার হলে পরবর্তীতে মামলা হবে।”